উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাসই প্রথম অস্ত্র

খাদ্যাভ্যাসই প্রথম অস্ত্র
খাদ্যাভ্যাসই প্রথম অস্ত্র  © সংগৃহীত

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’। কারণ, অনেক সময় কোনো লক্ষণ ছাড়াই এটি শরীরে ক্ষতি করে যায়। নিরবেই বেড়ে যেতে পারে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক কিংবা কিডনি বিকলের ঝুঁকি। আগে এটিকে বয়স্কদের রোগ মনে করা হতো, কিন্তু এখন কম বয়সীদের মধ্যেও এই সমস্যা বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ভুল খাদ্যাভ্যাস আর অতিরিক্ত ওজন এর বড় কারণ।

চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ তো খেতেই হবে, তবে পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এনে এই রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

যেসব খাবার রাখুন প্রতিদিনের তালিকায়
খাদ্যতালিকায় বেশি করে রাখুন পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার, কারণ এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যেমন: তাজা ফল: কলা, পেঁপে, আপেল, আমলকী, মাল্টা, ডালিম, কমলা, নাশপাতি, পেয়ারা। সবজি: পালংশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, ঢ্যাঁড়স, মুলা, বেগুন, টমেটো, কুমড়া। অন্যান্য: ডাবের পানি, বাদাম, তিসি, কালিজিরা, শালগম ও ডার্ক চকলেট (পরিমিত পরিমাণে)। এসব খাবারে রয়েছে প্রাকৃতিক পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

যেসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে
অতিরিক্ত লবণ একেবারে নয়। টেস্টিং সল্ট, বিট লবণ বা সয়া সস থেকেও বিরত থাকতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার: কেক, পেস্ট্রি, লুচি, আইসক্রিম, অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার। কোলেস্টেরল বাড়ায় এমন খাবার: ডিমের কুসুম, খাসি বা গরুর মাংস। অতিরিক্ত লবণ ও তেলে ভরা খাবার: চাটনি, আচার ও বিভিন্ন ধরনের ভর্তা। এ ধরনের খাবার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কঠিন করে তোলে।

আপনার খাদ্যাভ্যাসে বড় কোনো বিপ্লব আনতে হবে না, বরং কিছু ছোট ছোট পরিবর্তনই রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন, শরীরচর্চা করুন, মানসিক চাপ কমান। নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করুন এবং খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে সচেতন থাকুন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন—নীরবে মৃত্যু ডেকে আনা এই ঘাতককে দূরে সরিয়ে দিন সচেতনতার শক্তিতে।


সর্বশেষ সংবাদ