সস্তা ফল পেয়ারার অমূল্য পুষ্টিগুণ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ০৬:২৭ PM , আপডেট: ২০ মে ২০২৫, ১২:৫১ PM
স্বাদ, পুষ্টিগুণ আর স্বাস্থ্যের দিক থেকে পেয়ারাকে বলা যায় এক অনন্য ফল। সহজলভ্য এই ফলটি শুধু মুখরোচকই নয়, বরং প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেয়ারাকে রাখলে শরীরের নানা উপকার হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ এবং লাইকোপেন—যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
পেয়ারা খাওয়ার ফলে টাইপ–২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যেতে পারে। এর আঁশসমৃদ্ধ গঠন শরীরে গ্লুকোজ শোষণ কমিয়ে দেয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
পেয়ারায় পাওয়া যায় ভিটামিন ‘সি’, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর। এটি শরীরকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়।
চোখের যত্নে পেয়ারা
ভিটামিন ‘এ’–তে সমৃদ্ধ পেয়ারা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর
পেয়ারার ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ ডায়রিয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যায় উপশম আনতে পারে।
ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়ক
পেয়ারা ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। এতে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও লাইকোপেন প্রোস্টেট ও স্তন ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধিকে ধীর করে।
পেয়ারার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ
১. কমলালেবুর চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’
২. ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’ কমপ্লেক্সে ভরপুর
৩. ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও ফলিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ
৪. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
৫. রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে ও কোলেস্টেরল কমায়
৬. অ্যাজমা, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
৭. রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
৮. পেয়ারা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে পারে
৯. ওজন কমাতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা দূর করে
১০. বয়সজনিত রোগ যেমন স্মৃতিভ্রংশ, চোখের ছানি বা আর্থরাইটিস প্রতিরোধে সহায়ক
সাশ্রয়ী এই ফলটি নিয়মিত খেলে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি কিছু মারাত্মক অসুখ থেকে নিজেকে রক্ষা করাও সহজ হয়। তাই সুস্থ থাকতে পেয়ারাকে করুন খাদ্যতালিকার নিয়মিত অংশ।