বন্ধুর মেয়েকে বাঁচাতে সাব্বিরের ফেসবুকে পোস্ট
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৪:৫৫ PM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৪:৫৫ PM
জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাব্বির রহমানের বন্ধু রিজভানের মেয়ে সায়রা। বয়স ১৫ দিন। তার হার্টে ছিদ্র রয়েছে, যা বাড়তে বাড়তে ৭ মি.মি. গিয়ে ঠেকেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে হাসপাতালের বিল। এদিকে রিজভানের জমানো টাকাও সব শেষ। সাব্বিরসহ রিজভানের অন্য বন্ধুরা যে যেভাবে পারছেন সাহায্য করছেন।
সায়রার চিকিৎসার জন্য লাগবে আরও আট-দশ লাখ টাকা। সায়রাকে বাঁচাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে সবার সাহায্য চেয়েছেন সাব্বির। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘‘আজ সায়রার (আজ নাম রাখলাম) ১৫ দিন বয়স। ওর নিঃশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সিপ আপ মেশিনে নিতে চায় ডাক্তার আমি না করছি মানে মারা যাওয়াটাকে আর তড়ান্বিত করলাম।
নিষ্ঠুর বাবা আমি। হতে হলো নিষ্ঠুর। মসজিদে গিয়ে নামায পরে আল্লাহকে বললাম সে যেন তাড়াতাড়ি মেয়েটাকে নিয়ে যায় কারণ ওর তীব্র কষ্ট হচ্ছে। কেনুলার করতে করতে আর শিরাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছোট বাচ্চা তো আমি কাছে গেলে চোখ দিয়ে বলে বাবা আমাকে ওরা অনেক ব্যাথা দেয় তুমি কিছু কর তো। আমি বারবার এত নিতে পারছি না।
কানটা আর মুখটা নাকি আমার মত আর চোখটা ওর মার মত হয়েছে। ওর রক্তে কোন এন্টিবায়োটিক কাজ করছে না। তারপরও বাঁচতে চাচ্ছে। কিন্তু সর্বোচ্চ চেষ্টা তো করলাম। আর কি করতে পারি! মাফ করে দিস মা আমাকে আর তোর মাকে। সায়রা এখনও জীবিত তবে কতক্ষণ থাকবে কেউ জানি না। সবাই আমার মেয়েটার জন্য দোয়া করবেন। ও ওর মাকে পুনরুজ্জীবিত করে দিল নিজেকে উজার করে দিয়ে।
গত ৩ জানুয়ারির পোস্ট এইটা। আমার না। আমার বন্ধু রিজভানের। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এইচ হলে আমার পাশের রুমেই থাকত সে। ভালো ছেলে। মানুষের বিপদে আপদে ঝাঁপিয়ে পড়ত। সারাক্ষণই হাসি মুখে থাকত। ওর স্ত্রী, সেও আমাদের ব্যাচের। আমাদের বান্ধবী।
দীর্ঘদিন বেকার থেকে কয়েকদিন আগেই রিজভান একটা ছোটখাট চাকরি পেয়েছে। সংসার ভালোই চলছিল। কয়েকদিন আগেই বললো, বাচ্চা হবে জানুয়ারিতে।
কম্পলিকেশনের জন্য বাবুটাকে একমাস আগেই আসতে হলো। সে এসেছে আরো কম্পলিকেশন নিয়ে! হার্টের ফুটাটা বাড়তে বাড়তে ৭ মি.মি. গিয়ে ঠেকেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে এনাম মেডিকেল এ বিল! বাবুকে বের করে শিশু হাসপাতালে নিতে হবে। ডাক্তাররা রেফার্ড করেছে সেখানে। কিন্তু বের হওয়ার উপায় নেই! কয়েককালের জমানো আড়াই লাখ টাকা রিজভানের শেষ। লাগবে আরও টাকা! এনাম থেকে বের করতে, শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা করতো। আট-দশ লাখ টাকা তো লাগবেই। আমরা দিচ্ছি, যে যেভাবে পাড়ি সাহায্য করছি! পুষাতে পারছি না। আমরা অধিকাংশই এখনো বেকার। অনেক বার অনেকের জন্য নেমেছি রাস্তাতে। আরেক বার নামছি আমরাই। সাহায্য প্রার্থী আপনাদের সবার। তাই ফেসবুকের মাধ্যমে সবার কাছে হাত পাতলাম!
আপনার ১০টি টাকাও হয়ত ১৮ দিনের সায়রার জন্য বহু মূল্যবান হতে পারে। পৃথিবীটা তো আমরা রোজ দেখছি। সায়রাও একটু দেখুক।
আর্থিক সাহায্য পাঠাতে-
Islami Bank Account- 20502740203658812
Account Name-S.M. Nahid Arefin
Branch- Pallabi, Mirpur