শুরু হলো ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২০, ০৮:৪৩ AM , আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০২:৫৯ PM
দেশে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই শুরু হয়েছে ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা। তবে ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন কঠোরভাবে মেনে এ পরীক্ষার আয়োজন করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। এতে ৫ হাজার ২শ’ শিক্ষার্থীর অংশ নেয়ার কথা আছে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪ শর্তে অনুমতি দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের দেয়া শর্তগুলো হল-
১.স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্বাস্থ্যবিধি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
২. সারা দেশের ৩৫টি ভেন্যুতে প্রতিদিন এক হাজার ৮০০ পরীক্ষার্থীর বেশি জনের পরীক্ষা নেয়া যাবে না। পরীক্ষার হলে প্রতিজন শিক্ষার্থীর মাঝে দূরত্ব থাকতে হবে ৬ ফুট।
৩. পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো সময় সরকার জনস্বার্থে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
৪. পরীক্ষার সময় কোনো শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার দায়দায়িত্ব নিতে হবে ব্রিটিশ কাউন্সিলকেই।
এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ কাউন্সিল জানিয়েছে, এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বর (২০২০) সেশনের ইন্টারন্যাশনাল জিসিএসই, আইজিসিএসই, ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পর্যায়ের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, দেশে প্রায় ৫ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী আছে, যারা অক্টোবর-নভেম্বরের পরীক্ষার জন্য জুলাই-আগস্টে রেজিস্ট্রেশন করেছে। সময়মতো এই পরীক্ষা দেয়া তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বাধ্যতামূলক ফেস মাস্ক পরিধান, পরীক্ষার্থীদের শারীরিক দূরত্ব, পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়মিত পরিষ্কার, স্যানিটাইজেশনসহ ব্রিটিশ কাউন্সিলের সুরক্ষা প্রোটোকলগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও খুলনার সব পরীক্ষা কেন্দ্রে মানা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালনায় ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা চার শর্তে আগামী ১ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়ার অনুমতি দিয়ে মন্ত্রণালয় সম্মতি জানিয়েছে। এর পর ওইদিনই ‘এ’ লেভেল শিক্ষার্থীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে আদালতে রিট করেন।
এর আগে কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী মে-জুন সেশনের পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ কাউন্সিল। কিছুদিন ধরে শিক্ষার্থীরা অক্টোবর-নভেম্বর সেশনের ও-লেভেল এবং এ-লেভেল পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিল।