‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের জন্য বুয়েট শিক্ষার্থীদের অ্যালামনাইদের হাতে তুলে দিতে চাই’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২২, ০৯:১০ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২২, ০৯:১০ PM
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে। কোনো গাইডেন্স নেই, আমাদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের কোনো ব্যবস্থা নেই। সেজন্য আমরা চাচ্ছি চতুর্থ বর্ষে উঠলে ১ বছর থেকে ৬ মাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের জন্য তাদের অ্যালামনাইদের হাতে তুলে দিতে চাই। তাহলে তারা (অ্যালামনাই) তাদের ক্যারিয়ার ডেভেলপ করে দেবে।
শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে বুয়েটের পুরকৌশল সেমিনার হলে বুয়েট অ্যালামনাইয়ের উদ্যোগে ‘পদ্মা সেতু : আমাদের স্বপ্ন, সংকল্প ও অর্জন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যে সর্বোচ্চ নম্বর পাবে তাকে আমরা জেয়াসিপ ফেলোশিপ দিতে চাই, বছরে একবার হোক।
দেশের উন্নয়নে বুয়েটের অবদানের কথা তুলে ধরে উপাচার্য বলেছেন, অনেকের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) হবে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়। বলা হবে ‘বুয়েট ইজ বুয়েট’, এটি হবে অনন্য। পদ্মাকে শাসন করে বুয়েট যে বুয়েট এটি প্রমাণিত হলো। দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বুয়েটে।
অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, খরস্রোতা পদ্মাকে শাসন করা চাট্টিখানি কথা নয়। পদ্মাকে শুধু ব্রিজ বললে ভুল হবে, এটি একটি সুপার স্ট্রাকচার। শুধু ব্রিজ করলে হয় না, সুপার স্ট্রাকচারের কারণে পদ্মা আমাদের কাছে পরাস্ত হয়েছে। পদ্মা সেতুর কল্যাণে এর দুই প্রান্তের মানুষের কষ্ট দূর হয়েছে।
বুয়েটের কীর্তিমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্মরণে ‘হল অফ ফেইম’ নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হল অফ ফেইম ভার্চুয়াল হোক। এখানে তাদের নাম পরিচয় থাকবে, তার কৃতিত্বের কথা লেখা থাকবে, তার একটি প্রবন্ধ থাকবে। এভাবে একটির পর একটি আসতে থাকবে। এটি না হলে গুণীদের অবদান সবাই ভুলে যাবে।
প্রকৌশলী ইমু রিয়াজুল হাসানের সঞ্চালনায় ও বুয়েট অ্যালামনাইয়ের সভাপতি প্রফেসর ড. আইনুন নিশাতের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খান, বুয়েট অ্যালামনাইয়ের মহাসচিব প্রকৌশলী মাহতাব উদ্দিন ও সমন্বয়ক বুয়েট অ্যালামনাই ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।