দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার চেয়ে উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ

উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ
উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ  © সংগৃহীত

উপাচার্য কর্তৃক অবৈধ নিয়োগ বাতিল, গণনিয়োগ বন্ধ ও সেশনজটমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (০২ মার্চ) দুপুরে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবন, একাডেমিক ভবন, বিজ্ঞান ভবন, স্বাধীনতা চত্বরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে এসে মিলিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘অবৈধ নিয়োগ মানি না, মানবো না, দুর্নীতিবাজ ভিসির, বিচার চাই করতে হবে, দুর্নীতি আর করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না, ভিসির গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’ প্রভৃতি শ্লোগান দিতে শোনা যায়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে পাবিপ্রবি প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীর দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার চেয়ে উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা করেন।

আরও পড়ুন: কৃষি গুচ্ছে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়, আসন বাড়ছে শতাধিক

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে যে তাকে রাতের আঁধারে পালিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা তার অপসারণ এবং দুর্নীতির বিচার চাই।

জানা যায়, নিয়োগপ্রাপ্তির পরেই বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন পাবিপ্রবি উপাচার্য। উন্নয়ন প্রকল্পে কমিশন, ভুয়া ভাউচারে অর্থ উত্তোলন, নিয়োগ বাণিজ্য, বই ক্রয়ে দুর্নীতি, বাড়ি ভাড়ায় ফাঁকিসহ প্রভৃতি অভিযোগ উঠে। এছাড়া নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসেবে বিধি বহির্ভূতভাবে আপন ভাতিজি কানিজ ফাতেমা কনক, ভাগিনা হাসিবুর রহমান, ভাইয়ের ভায়রার ছেলে মীর রমজানসহ ডজনখানেক আত্মীয়কে নিয়োগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: শুধু শিক্ষার্থী না, লেখাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকের না বলা কথা

উল্লেখ্য, আগামী ৬ মার্চ (রোববার) পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীর মেয়াদ শেষ হবে। তবে এরই মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তীব্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ