আগামী বছর থেকে বড় পরিসরে প্রভাতফেরি আয়োজন করবে বশেমুরবিপ্রবি

 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ২০২০ সালে ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রভাতফেরি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)। তৎকালীন শিক্ষার্থী উপদেষ্টা কাজী মসিউর রহমানের তত্বাবধানে আয়োজিত হয় প্রভাতফেরিটি। তবে ২০২১ এর অক্টোবরে এক সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন বশেমুরবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক। আর এর পরপরই চলতি বছরের শহীদ দিবসের কর্মসূচির তালিকা থেকে বাদ পড়ে প্রভাতফেরিও।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রভাতফেরি আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ না করলেও প্রভাতফেরীর তাৎপর্য উপলব্ধি করে সাধারণ শিক্ষার্থীরাই প্রভাতফেরি আয়োজনের উদ্যোগ নেয়৷ একুশের প্রথম প্রহরে প্রভাতফেরিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

প্রভাতফেরি আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণকারী এক শিক্ষার্থী মো: নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলেবেলায় যখন খুব বেশি কিছু বুঝতাম না তখনই ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পন্থা হিসেবে প্রভাতফেরির সাথে পরিচিত হই। কিন্তু ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এই চর্চা না দেখে প্রথমে খারাপ লাগলেও পরবর্তীতে ২০২০ এ এসে কাজী মসিউর রহমান স্যার এর হাত ধরে একটা প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেই। সেই সময়ে আমাদের প্রত্যাশা ছিলো প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাতফেরির আয়োজন করবে। কিন্তু এই বছরে প্রশাসনের এধরনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় আমরা ব্যথিত হয়েছিলাম এবং পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরাই প্রভাতফেরির আয়োজন করি। আশা করি এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগই এটি বৃহৎ পরিসরে আয়োজন করবে।

আরও পড়ুন: মিলছে না এমপিও, পেশা বদলাচ্ছেন প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকরা

এদিকে এই বছরে প্রভাতফেরির আয়োজন না করা হলেও পরবর্তী বছরগুলোতে বৃহৎ পরিসরে প্রভাতফেরীর আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।

একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের স্মরণ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজনের জন্য গঠিত কমিটির সভাপতি মো: আশিকুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, ‘বিগত বছরের কর্মসূচিতে প্রভাতফেরি না থাকায় এই বছরেও রাখা হয়নি। তবে এ বছর প্রভাতফেরি আয়োজন না করলেও আমরা উপলব্ধি করেছি প্রভাতফেরি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী বছরে আমরা অবশ্যই বৃহৎ পরিসরে প্রভাতফেরি আয়োজন করবো।’

উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি আয়োজনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো এবং তারাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো কি কি কর্মসূচি থাকবে৷ তবে কর্মসূচিতে প্রভাতফেরি রাখা উচিত ছিলো৷ যেসকল শিক্ষার্থী প্রভাতফেরী আয়োজন করেছে তারাও আমাকে বিষয়টি জানালে আমি প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করতাম। আমরা চেষ্টা করবো পরবর্তী বছরে বৃহৎ পরিসরে প্রভাতফেরি আয়োজন করার।’


সর্বশেষ সংবাদ