জাতীয় বিতর্কে ঢাবিকে হারালো মাভাবিপ্রবি

স্বপ্ন চত্বর
স্বপ্ন চত্বর  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২২ এর প্রথম রাউন্ডে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-কলা ভবন’কে ২-১ ব্যালটে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির দল “স্বপ্ন চত্বর”।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) মাভাবিপ্রবির বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক শাহিন মাহমুদ এর নেতৃত্বে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় মাভাবিপ্রবির ‘‘স্বপ্ন চত্বর’’।

টিমের বিতার্কিক ছিলেন উম্মে হাবিবা হিয়া, জারিন তাসনিম ইতু ও নাজিয়া নোশিন অর্থী। সহযোগী সদস্য হিসেবে ছিলেন এনামুল হক তুহিন, তানজিনা আফরিন জেবা, আনসেন দালবত ও মহসিন আহম্মেদ।

এই দুই দলের বিতর্কে শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন বিজয়ী দলের দলনেতা নাজিয়া নোশিন অর্থী ও উম্মে হাবিবা হিয়া।

আরও পড়ুন: কাফনের কাপড় পরে উপাচার্যের পদত্যাগ চাইলেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবির ডিবেটিং ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল হিসেবে দল স্বপ্নচত্বর অংশগ্রহণ করেছে জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের অনন্য সহযোগিতা ছিলো সর্বক্ষণ। 

প্রথমেই আমরা ধন্যবাদ জানাতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন স্যারকে। স্যারের মূল্যবান সহযোগিতা আমাদের যাওয়ার পথকে করেছে অনেক সহজ এবং সুন্দর। আশা করি ভবিষ্যতেও স্যারের এই অনুপ্রেরণায় আমরা বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবো। 

কৃতজ্ঞতা রইলো প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান স্যারের প্রতি। স্যারের মূল্যবান পরামর্শ সাথে ছিলো সবসময়।  

মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম স্যারের প্রতি জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।  আমাদের যাত্রার সময়গুলোতে বরাবরের মত প্রত্যেকটি বিষয়ে স্যারের সহযোগিতা ও মূল্যবান নির্দেশনা ছিলো আমাদের সর্বসঙ্গী।

আরও পড়ুন: প্রাধ্যক্ষ অপসারণ দাবি থেকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রফেসর ড. এ.এস.এম সাইফুল্লাহ স্যার ও মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন স্যারকে। আমাদের যাত্রার পথকে আরো সুন্দর করতে অনেক ব্যস্ততার পরেও স্যাররা আমদের পাশে ছায়ার মত ছিলেন।

বিতর্কের অনুশীলন এবং যাতায়াতের প্রস্তুতিসহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রতিটি পর্যায়ে আমাদের সাথে ছিলেন সুব্রত ব্যানার্জি স্যার। প্রত্যেকটি ছোট ছোট প্রয়োজনেও স্যারকে সাথে পেয়েছি আমরা। যেকোন সময়ে শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের কে সময়, সাহস, উপদেশ এবং দিকনির্দেশনা দিয়ে এতটা পাশে থাকার জন্য স্যারের প্রতি রইলো অসংখ্য কৃতজ্ঞতা। 

আজকের যাত্রাপথে আমাদের সাথে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে ছিলেন শাহিন মাহমুদ স্যার। বিতর্ক চলাকালীন পুরো সময়ে স্যার ছিলেন আমাদের পাশে। দিয়েছেন মূল্যবান নির্দেশনা। আমাদের যাত্রাপথকে করেছেন অনেক বন্ধুসুলভ এবং আনন্দময়। স্যারের সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্যারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’’


সর্বশেষ সংবাদ