গত ১২ বছরে বাংলাদেশ ইতিহাসের স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেছে: বিডিইউ ভিসি

অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর
অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর  © ফাইল ছবি

৫জি প্রযুক্তির প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনের যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেখিয়েছে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়াই হোক এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের অঙ্গিকার।

আজ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষ্যে এক বিবৃতিতে একথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (বিডিইউ) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস আজ

বিবৃতিতে উপাচার্য বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২১ এই ১২ বছরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী ও তার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে ইতিহাসের এক স্বর্ণযুগে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীকে নিরলসভাবে সহায়তা করছেন তার সুযোগ্য পুত্র এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

আরও পড়ুন: বিডিইউ শিক্ষার্থীরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে: ভিসি

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, মাত্র ১২ বছরে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেল। ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশের চার স্তম্ভ কানেক্টিভিটি ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন ঘিরে নেওয়া অধিকাংশ উদ্যোগের বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যার ফলে দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটেছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি, হাই-টেক পার্ক নির্মাণ,মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি, ৪জির যুগ শেষ করে বাংলাদেশ এখন ৫জি তে প্রবেশ,হাজার হাজার ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করাসহ অসংখ্য অর্জন হয়েছে এই সেক্টরে।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাবহারের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এই ডিজিটালাইজেশন। আইওটি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষির ফলন বৃদ্ধি ও যান্ত্রিকিকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় বিডিইউ উপাচার্য

তিনি বলেন, শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়াতে দেশের প্রায় সবক’টি স্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, জেলা পর্যায়ে ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার লক্ষ্যে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে। ভবিষ্যতে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে এখানকার শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

উপাচার্য বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অনেকগুলো নীতি করা হয়েছে।যার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সেবাসমূহ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারছি।

“ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। অনেক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন যা উল্লেখ করে শেষ করা যাবে না। সর্বশেষ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ নেতৃত্বদান এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অনন্যসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের ৮০টি দেশের সদস্যভুক্ত সংগঠন ‍‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স’ তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ‘উইটসা ২০২১’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।”

উপাচার্য বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে এবং দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক যোগাযোগসহ প্রতিটি খাতে অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence