দেড় বছর পর খুলেছে বশেমুরবিপ্রবির হলের দুয়ার
- বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২১, ১১:৪২ PM , আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ১০:২৯ AM
প্রায় দেড় বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হলসমূহ খুলে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসন। ইতোমধ্যে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে হলগুলো। তবে হল প্রভোস্টদের দাবি চাহিদা অনু্যায়ী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বশেমুরবিপ্রবি হল প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শেখ রেহানা হলের প্রভোস্ট মো: রোকনুজ্জামান বলেন, আমরা কিছদিন পূর্বে প্রভোস্ট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর লিখিত কিছু দাবি জানিয়েছিলাম যার মধ্যে ছিলো প্রতিটি হলে অস্থায়ী বেসিন স্থাপন করা, একজন করে নিরাপত্তারক্ষী এবং একজন করে স্বাস্থ্যসেবা সহায়ক প্রদান করা, একজন করে অতিরিক্ত ক্লিনার ও ঝাড়ুদার প্রদান করা এবং ডাইনিংয়ে দুজন করে সহায়ক প্রদান করা। এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি হলে একটি করে ফগার মেশিনও চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখন পর্যন্ত অস্থায়ী বেসিন ছাড়া আর কিছুই পাইনি।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট কাউন্সিলের সদস্য সচিব ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট শেখ মো: ফায়েকুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব করেছি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আমরা আরও কিছু বিষয় প্রশাসনের নিকট দাবি করেছিলাম। উপাচার্য ওইসময়ে আমাদের সবকিছু দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো উপাচার্যের এই কথার বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি না।
গণরুমের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের হলের অন্য রুমে স্থানান্তরের মাধ্যমে গণরুমে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করেছি। ইতোমধ্যে আমি আমার হলের তিনটি রুম প্রস্তুত করেছি এছাড়া অন্যান্য হলগুলোও তাদের মত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা ধীরে ধীরে গণরুম বিলুপ্ত করা।
তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে সংবাদমাধ্যম দেখেছি উপাচার্য জানিয়েছেন গণরুমের শিক্ষার্থীদের টিনশেডে স্থানান্তর করা হতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং হল প্রভোস্ট হিসেবে আমি এই সিদ্ধান্তের পক্ষে নেই। কারণ টিনশেডগুলোর পরিবেশ স্বাস্থ্যকর নয়, পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত আবাসন সুবিধা পাওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকার তাই শিক্ষার্থীদের টিনশেডে স্থানান্তরের চিন্তাকে আমি সমর্থন করতে পারছি না।
এদিকে, এসকল বিষয়ে কথা বলার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, আজ থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং ২০ অক্টোবর থেকে সকল শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক হলসমূহ খুলে দিচ্ছে বশেমুরবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ।