বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসনের ‘মুড সুইং’: অনলাইনে নয় অফলাইনে হবে পরীক্ষা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার বিষয়ে আবারও সিদ্ধান্ত পরবর্তন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। চেয়ারম্যানদের সাথে গতকাল (সোমবার) রাতে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে অনলাইনে নয় অফলাইনেই অনুষ্ঠিত হবে বশেমুরবিপ্রবির সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অনলাইনে সেমিস্টার পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বশেমুরবিপ্রবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। ২২ আগস্ট প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের যেসকল শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগ সেমিস্টার ফাইনালের রুটিন প্রকাশ করে এবং শিক্ষার্থীরাও রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে। তবে পরীক্ষা শুরু করার মাত্র দুইদিন আগেই পরীক্ষার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসন।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, আমরা অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী কয়েকটি ডেমো পরীক্ষা গ্রহণ করেছিলাম। এসকল ডেমো পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দিয়েছে। একারণেই আমরা অনলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি।

এছাড়া, একাধিক বিভাগের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ কিংবা তার পর থেকে পর থেকে সশরীরে পরীক্ষা শুরু হবে। তবে প্রথম ধাপে শুধুমাত্র চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “প্রশাসন কিভাবে, কাদের ডেমো পরীক্ষা নিয়েছে জানা নেই। প্রশিক্ষণ ব্যতীত ডেমো পরীক্ষা শুরু করলে জটিলতা হওয়া স্বাভাবিক। আমি মনে করি, পরীক্ষার ক্ষেত্রে এটি বড় প্রতিবন্ধকতা হওয়া উচিত নয় কারণ এ বিষয়ে স্বল্প সময়ের কিছু ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করলেই শিক্ষার্থীরা এই পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। কিন্তু প্রশাসন শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না করে অনলাইন পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী মেসে থাকে এবং এদের অনেকেই দীর্ঘ ছুটির কারণে মেস ছেড়ে দিয়েছে। স্বল্প সময়ে নতুনভাবে বাসা ভাড়া নিয়ে সশরীরে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা আমাদের অনেকের জন্যই কঠিন হবে। তাছাড়া সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ করলে আমাদের সেশনজটও দীর্ঘায়িত হবে। তাই প্রশাসনের এরুপ সিদ্ধান্তে আমাদের হতাশাগ্রস্ত হওয়া ব্যতীত কিছুই করার নেই।”

প্রসঙ্গত, এর আগে জুন মাসে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ঈদের পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীতে ১৭ আগস্ট একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ৪০ নম্বরের লিখিত এবং ২০ নম্বরের ভাইভার মাধ্যমে অনলাইন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ