পাবিপ্রবিতে এক বছর আগের তারিখে ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সালোচনা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর আগের তারিখে ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) একাডেমিক ও স্কলারশিপ শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. সুজা উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্পেশাল পরীক্ষা-২০১৮ এর ফরম পূরণের তারিখ ১৪-০৬-২০২১ থেকে ২৮-০৬-২০২০ পর্যন্ত নির্ধারণ করেছেন। 

পাবিপ্রবির রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের একাডেমিক ও স্কলারশিপ শাখার বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য গত ১৩ জুন একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্পেশাল পরীক্ষা-২০১৮ এর ফরম পূরণের তারিখ ১৪-০৬-২০২১ থেকে ২৮-০৬-২০২০ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। 

সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন ফরম নিজ বিভাগ থেকে সংগ্রহ করবেন। তারপর ফরম পূরণ করে হল ক্লিয়ারেন্স দিয়ে ২৮ জুন জমা দিবেন। বিভাগ পূরণ করা ফরম রেজিস্ট্রার দফতরের একাডেমিক শাখায় ২৮ জুনের মধ্যে পাঠাবে।বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক পেজে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মন্তব্য করে পোস্ট দিতে থাকেন। 

সুইট মন্ডল নামে এক শিক্ষার্থী লিখেন, আর কবে এসব বিষয়ে সচেতন হবে, মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। সেদিনের এএম, পিএম নিয়ে কত বড় নিউজ হয়ে গেল, অথচ আবার ভুল। এখন মনে হয় এরা বার বার ভুল করেই মিডিয়ায় আসতে চায়। এগুলো দেখলে এখন সত্যিই খুব খারাপ লাগে। 

অপর এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, এদের চাকরি কে দিছে? এরা মনে হয় শুকনো কিছু খেয়ে লিখেছেন। 

বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে কি খেলা চলছে, আমরা জানতে চাই। কারা কিভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন সেটাও ওপেন সিক্রেট। এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া দরকার বিশ্ববিদ্যালয়টির। সবাই লুটপাটে ব্যস্ত, কোনো প্রকার জবাবদিহিতা নেই। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অথচ উন্নতির চিন্তা কারোর মাঝেই নেই। যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই আখের গোছাতে ব্যস্ত। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন তারা। 

বিষয়টি নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) একাডেমিক ও স্কলারশিপ শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. সুজা উদ্দিনের মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে পাবিপ্রবি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হয়ত এটি টাইপিংয়ে ভুল হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে এ ধরনের ভুল কখনোয় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। প্রায়ই এ ধরনের ভুল হয়ে যাচ্ছে, কেউ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণেই এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি শক্ত অবস্থানে থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেন, হয়তো আর এমন হতো না। এটি আমাদেরই ব্যর্থতা।  


সর্বশেষ সংবাদ