আবরারের স্মরণে পলাশীতে স্মৃতিফলক

আগ্রাসন বিরোধী ‘আট স্তম্ভ’র নির্মাণ কাজ চলছে
আগ্রাসন বিরোধী ‘আট স্তম্ভ’র নির্মাণ কাজ চলছে  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের স্মরণে পলাশীর মোড়ে অস্থায়ী একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশীর মোড়ে প্রতীকী স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

নির্মাণ কাজের চিত্র তুলে ধরে রিপন মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী চত্বরে শহীদ আবরার ফাহাদের স্মৃতি ও চেতনা সমুন্নত রাখতে স্থাপিত আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ। এই রাতে তাকে ছাত্রলীগ ভারতের ইশারায় নির্মমভাবে হত্যা করে। এই স্তম্ভ মনে করিয়ে দেবে যে এদেশের তরুণ প্রজন্ম ভারতের আগ্রাসনকে মেনে নেবে না।

সাইদুজ্জামান বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ মিনার এভাবেই রাতারাতি সে সময়ের বিপ্লবী তরুণদের হাতে গড়ে উঠেছিল। পুলিশ সেটিকে ভেঙেও দিয়েছিল। কিন্ত সেই শহীদ মিনারের আদলে আজ সারা বাংলাদেশে শহীদ মিনার হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, এদিন আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়। আবরারের স্মৃতি ও চেতনা সমুন্নত রাখতে তারা এই আট স্তম্ভের প্রতীকী শহীদ মিনার নির্মাণ করেছেন। আট স্তম্ভের মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা, আগ্রাসন নির্মূলের দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আগ্রাসন বিরোধী ‘আট স্তম্ভ’

২০১৯ সালের বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে-বাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু উশৃঙ্খল কর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর এই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু হয়। সেদিন এ মামলায় গ্রেফতার ২২ আসামির মধ্যে ১৩ জনের পক্ষে অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি হয়। আর ৯ সেপ্টেম্বর বাকি ৯ আসামির আইনজীবী অব্যাহতির আবেদনের উপর শুনানি করেন।


সর্বশেষ সংবাদ