হাবিপ্রবি স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের ‘বিজমাস্টার’-এ বিজয়ী আইইউটির ‘টিম স্লাইডিং আপ’

হাবিপ্রবি স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের ‘বিজমাস্টার’-এ বিজয়ী আইইউটির ‘টিম স্লাইডিং আপ’
হাবিপ্রবি স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের ‘বিজমাস্টার’-এ বিজয়ী আইইউটির ‘টিম স্লাইডিং আপ’  © টিডিসি ফটো

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) প্রথমবারের মত জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত বিজনেস কেস প্রতিযোগিতা ‘বিজমাস্টার’-এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) দল স্লাইডিং আপ। দেশের বিভিন্ন সনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট দেড় শতাধিক দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে দুইটি রাউন্ড পার হয়ে গ্র্যান্ড ফিনালে জায়গা করে নেয় ৮টি দল।

২৮ নভেম্বর (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম–১ এ সকাল ১০টা থেকে গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণকারী দলগুলো তাদের বিশ্লেষণ, উপস্থাপনা ও কৌশলগত দক্ষতা প্রদর্শন করে। এসময় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সহকারী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ ইউসুফ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক রাফিয়া আক্তার এবং নিউট্রিশন ইন সিটি ইকোসিস্টেমস (নাইস) প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোশফিকুল আলম তালুকদার। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আইইউটি, জাবি, রাবি ও ঢাবিসহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দলগুলো।

আরও পড়ুন: ৪ তলা বাড়িয়ে হয়েছে সাত, ‘অতি ঝুঁকি’ নিয়েই মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বাস এই ভবনে

ফাইনাল রাউন্ডের ফলাফল অনুযায়ী প্রথম স্থান অর্জন করেন আইইউটির টিম ‘স্লাইডিং আপ’, দ্বিতীয় স্থান নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির টিম ‘ডালভাত’, তৃতীয় স্থান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘হাট্টিমাটিম’।

231
চ্যাম্পিয়ন ‘স্লাইডিং আপ’, ফার্স্ট রানার্স আপ ‘ডালভাত এবং সেকেন্ড রানার্স আপ ‘হাট্টিমাটিম’

অনুভূতি প্রকাশ করে টিম স্লাইডিং আপের সদস্যরা বলেন, ‘ঢাকা থেকে আসার সময় এমন এক পরিস্থিতি ছিল যে, বাসে বসেই স্লাইড জমা দিয়েছিলাম। তবে পুরো যাত্রাটি আমাদের কাছে একটি অনন্য অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে বিজমাস্টার টিমের অসাধারণ আতিথেয়তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। অবশ্য প্রতিযোগিতার এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল, সম্ভবত আমাদের যাত্রা শুধু দিনাজপুরের একটি ছোট্ট ভ্রমণ হিসেবেই শেষ হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে বিজয়ী হয়ে আসব, এটা এখনো ভাবতে স্বপ্নের মত লাগছে।’

আরও পড়ুন: অ্যাডমিশন টেস্ট ভাগ্যের খেলা, দেড় ঘণ্টা ভালো ব্যাট করলেই সফলতা

এ বিষয়ে হাবিপ্রবি স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘বিজমাস্টার প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের ব্যবসায়িক বিশ্লেষণ এবং কৌশলগত চিন্তাভাবনা বৃদ্ধি করা। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও অংশগ্রহণ আশার চেয়ে বেশি ছিল। আশা করি, আগামী বছর আরও বড় পরিসরে আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বিকাশে অবদান রাখব।’

প্রথমবারের মত জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ ও উত্তেজনা ছিল চরম। আয়োজকরা জানান, আগামী বছর আরও বড় পরিসরে ‘বিজমাস্টার’ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ