হাবিপ্রবিতে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা  © টিডিসি

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) দেশের ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩১০ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধির অংশগ্রহণে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। এ সম্মেলন চলবে আগামী শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত। 

হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার আয়োজনে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১-এ এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম এমদাদুল হাসানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক  ড. মো. এনামউল্যা বলেন, ‘একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি এ ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে।’

তিনি বলেন, ‘তোমাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য এ ধরনের প্রোগ্রাম অনেক হেল্পফুল হবে, বিশেষ করে পড়াশোনা শেষে চাকরিজীবনে তোমরা এর সুফল পাবে। তোমাদের অনেকের অ্যাকাডেমিক ফল ভালো, কিন্তু একটা জবের জন্য যে স্কিল প্রয়োজন, সেটা হয়তো তোমার নেই। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজগুলো কাজে আসবে।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য আরও বলেন, ‘তোমরাই সেই জেনারেশন, যারা গত বছর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছ। দেশটা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছিলো, তোমরা সেটাকে সঠিক পথে নিয়ে এসেছো। নিজের জীবনের কথা না ভেবে তোমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও দেশের সার্বভৌমত্বের কথা ভেবেছো, এ জন্য আমরা তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ১৮৫৫ সালের ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে।


সর্বশেষ সংবাদ