ফাঁস হওয়া রেকর্ডিংকে মানহানিকর আখ্যা দিয়ে হাবিপ্রবি উপাচার্যের তদন্ত কমিটি

হাবিপ্রবি
হাবিপ্রবি  © সংগৃহীত

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যাকে উদ্দেশ্য করে পাঠানো তিনটি ভয়েস বার্তা ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ‘মানহানিকর’ হিসেবে বিবেচনা করে ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের একান্ত সচিব মহিউদ্দীন আহাম্মদ জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ১৮ মিনিটে তিনি তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে (০১৭১২-৭৮৭৫৭৮) হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অপর একটি নম্বর (০১৭১৬-০৬৩১৮২) থেকে তিনটি ভয়েস বার্তা পান। বার্তাগুলো শুনে তিনি দেখতে পান, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ‘মানহানিকর’ মন্তব্য করা হয়েছে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উপাচার্যকে অবহিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, যেহেতু বার্তাগুলো একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তথা ভাইস-চ্যান্সেলরের ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করেছে, তাই ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ভাইস-চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আদেশে প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম শিকদারকে আহবায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান বাহাদুর, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির ও রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. আবু হাসান। কমিটিতে সচিব হিসেবে আছেন কাউন্সিল শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মোখলেছুর রহমান সালাফী।

তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলেও জানা গেছে। কমিটির সদস্যরা ভয়েস বার্তার উৎস, উদ্দেশ্য এবং এর প্রভাব বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন জমা দেবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজের টেন্ডার, ঘুষ গ্রহণ এবং ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে অর্থ জমার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২১ সেপ্টেম্বর অভিযান চালায়।


সর্বশেষ সংবাদ