সেই মীমের ভর্তিজটিলতা বিবেচনায় গুচ্ছ ভর্তি কমিটিকে জানিয়েছে গোবিপ্রবি
- গোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৮ PM , আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৭ PM
গরিব ভ্যানচালকের মেধাবী কন্যা মীম আখতার শিখার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিজনিত জটিলতা সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) প্রশাসনের নজরে এলে তারা তা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থায় ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব না হলেও, গোবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপের জন্য মীমের আবেদনটি কেন্দ্রীয় গুচ্ছ ভর্তি কমিটির কাছে পাঠিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সামান্য ভুলে স্বপ্ন ভঙ্গ হতে চলেছে ভ্যানচালকের কন্যা মীমের’ শীর্ষক শিরোনামে একটি নিউজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস সহ কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বর্তমানে গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম চলছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় ‘পুরো প্রক্রিয়াটি কেন্দ্রীয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটি পরিচালিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়সীমার বাইরে গিয়ে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষেই প্রাথমিক ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তবে মানবিক বিবেচনায় গোবিপ্রবি প্রশাসন মীম আখতার শিখার আবেদনটি কেন্দ্রীয় গুচ্ছ ভর্তি কমিটির নিকট পাঠিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের তপস্বীডাঙ্গা গ্রামের গরিব ভ্যানচালক মো. আছাদুল বিশ্বাসের মেয়ে মীম আখতার শিখা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি অনেক কষ্টে টাকা সংগ্রহ করে গত ৩০ জুন প্রাথমিক ভর্তি ফি জমা দেন। তবে ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী কাগজপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ছিল ১ জুলাই। মীম ও তার পরিবার ভুলবশত শেষ তারিখ ৭ জুলাই মনে করে ওই দিন কাগজপত্র নিয়ে গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কাগজপত্র গ্রহণে অপারগতা জানায়। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মীমকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং বিষয়টি মীম আখতার শিখার আবেদনটি কেন্দ্রীয় গুচ্ছ ভর্তি কমিটির নিকট পাঠায়।