বিএসসি কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২০ PM , আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২০ PM

বিএসসি কৃষিবিদদের প্রতি চলমান বৈষম্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন এবং এসব দাবি না মানলে দেশের সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা জানান, ডিপ্লোমাধারী কৃষিবিদদের ৮ দফা দাবি অযৌক্তিক। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এসব দাবি গ্রহণ না করার আহ্বান জানান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের সব ধরনের বৈষম্য দূর করা। অথচ বিএসসি কৃষিবিদদের সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ১০ম গ্রেডে চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা: ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের মানববন্ধন
তারা আরও বলেন, দেশের কৃষি উন্নয়নে বিএসসি কৃষিবিদরা নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং উচ্চফলনশীল জাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। এই জায়গায় যদি ডিপ্লোমাধারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পিছিয়ে পড়বে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কৃষি অনুষদের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মুন্না, রেজভী মাহমুদ, আবু বক্কর সিদ্দিক, সানাউল্লাহ শেখ ও ওবায়দুল্লাহ। এ ছাড়া কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি হলো
১. ১০ম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/ সমমান) চাকরিতে বিএসসি এবং ডিপ্লোমা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে ।
২. বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (বিসিএস) পরীক্ষা ব্যতীত কোনোভাবেই কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পদে (৯ম গ্রেড) যোগদান করতে পারবে না। ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে পদোন্নতি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে এবং ১০ম গ্রেডের পদসমূহ গেজেটের আওতার বাইরে প্রচলিত কাঠামোতেই রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, হাসপাতালে ভর্তি
৩. বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সহ অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমাধারীদের ৯ম গ্রেড এ পদোন্নতি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
৪. প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম ছাড়া কোনোভাবেই পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রাখা যাবে না।
৫. কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয় স্নাতক ব্যতীত নামের পর্বে ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৬. কৃষিবিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর) অধীনেই রাখতে হবে।