হজে সফরসঙ্গী: উপদেষ্টার স্ত্রী-দুই বোনকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১২:১৮ AM , আপডেট: ১৭ জুন ২০২৫, ০৮:২৫ PM

‘সরকারি অর্থে হজে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মালি, চালক, গানম্যান ও পিয়ন; নির্দেশনা না মেনে সফরসঙ্গী উপদেষ্টার স্ত্রী ও দুই বোন’—শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘মনগড়া ও ভুল তথ্যপূর্ণ’ দাবি করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৪ জুন) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, বণিক বার্তা পত্রিকায় প্রথমে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনটি পরবর্তীতে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও কালের কণ্ঠে পুনঃপ্রকাশ পায়। প্রতিবেদনটিকে তথ্যভিত্তিক না বলে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় দাবি করে, এতে কোনো ধরনের তথ্য যাচাই ছাড়াই টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, হজ ব্যবস্থাপনার মতো জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে নির্ধারিত বিধিমালা অনুযায়ীই বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। ‘হজ ও উমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২’-এর আওতায় অফিস সহায়ক, ড্রাইভার, গানম্যান, কম্পিউটার অপারেটরসহ প্রয়োজনীয় জনবলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই হজ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, হজ মৌসুমে মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় তিনটি অফিস চালু রাখতে হয়, যেখানে তিন শিফটে সেবা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজন হয়। হজযাত্রীদের রুম, লাগেজ, স্বাস্থ্য, দিক হারানো, দাফন, অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং যাতায়াত সংক্রান্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে থাকেন এসব কর্মকর্তা।
চলতি বছর ইন্দোনেশিয়া ২ লাখ ২১ হাজার হাজির জন্য ৪ হাজারের বেশি জনবল নিয়োগ করলেও বাংলাদেশ মাত্র ৮৭ হাজার হাজির জন্য ২৯৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী পাঠিয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।
সংবাদে উল্লিখিত ধর্ম উপদেষ্টার স্ত্রী ও দুই বোনের হজে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা, তারা সরকারি অর্থে নয়, বরং নিজেদের খরচেই হজে গেছেন। টাকা জমার রসিদ মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত রয়েছে, এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককেও তা সরবরাহ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, যেহেতু তাদের সঙ্গে অন্য কোনো মাহরাম পুরুষ ছিলেন না, তাই ধর্ম উপদেষ্টা নিজেই মাহরাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি আদেশকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধর্ম উপদেষ্টাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে মন্ত্রণালয়।