পেনশন স্কিম বিতর্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং বিদ্যুৎ পানি বন্ধের হুঁশিয়ারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
- চুয়েট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৪:৩০ PM , আপডেট: ১৯ মে ২০২৪, ০৫:১৬ PM
সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আওতামুক্ত রাখার দাবিতে পৃথকভাবে আন্দোলনে নেমেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষক সমিতি ও স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন। এসময় দাবি মানা না হলে প্রয়োজনে চুয়েটের বাস, হলের ডাইনিং, বিদ্যুৎ, পানি সব বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
আজ (রবিবার) দুপুর ১২টায় চুয়েটের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধন করেন চুয়েট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন। এসময় প্রায় ৫ শতাধিক কর্মচারী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতা মুক্ত রাখার পাশাপাশি পদোন্নতি, সুবিধা বৃদ্ধি এবং আগামী বাজেটে নবম পে-স্কেল চালুর দাবি জানান।
উক্ত কর্মসূচিতে চুয়েট স্টাফ এসোসিয়েশন সভাপতি ও বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দীন বলেন, আমরা অতি শীঘ্রই এই বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম থেকে মুক্তি চাই। আমাদের দাবি না মানা হলে প্রয়োজনে আমরা চুয়েটের বাস, হলের ডাইনিং, বিদ্যুৎ, পানি সব বন্ধ করে দেব। তবুও এই বৈষম্য আমরা মেনে নিব না।
দুপুর সাড়ে ১২টায় একই স্থানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করে মৌন মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন চুয়েট শিক্ষক সমিতি। এতে চুয়েটের শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। এসময় চুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাবে। চুয়েটে শিক্ষকরা পদোন্নতি পায় নতুন একটি নিয়োগের মাধ্যমে। ফলে দেখা যাবে পদোন্নতি পাওয়ার পর বর্তমান শিক্ষকরাও সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় পড়বেন। তাই, অনতিবিলম্বে এ বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মুক্ত রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ই মার্চ ২০২৪ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা থেকে বের করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে আগামী ১ জুলাই এবং তৎপরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।