মেসেঞ্জারে বাকবিতণ্ডার জেরে চুয়েট শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় মারামারি

  © ফাইল ফটো

মেসেঞ্জারে বাকবিতণ্ডার জেরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের (২০ ব্যাচ) একদল শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ব্যক্তিগত ঝামেলা নিয়ে নিজেদের বিভাগের মেসেঞ্জার গ্রুপে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গত সোমবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইমাম গাজ্জালী কলেজের সামনে মারধরের শিকার হন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের একই বর্ষেরশিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাগর। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরে অভিযোগ না করলেও বিভাগীয় প্রধানকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ২ শিক্ষার্থী হলেন- একই বর্ষের দীপ পাল ও সিফাত চৌধুরী। 

আহত শিক্ষার্থী জানান, বিভাগের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মেসেঞ্জার গ্রুপে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। ঘটনার রেশ ধরে তাকে সহপাঠীরা ইমাম গাজ্জালী কলেজের সামনে ডেকে নেয়। ওখানেই তিনি এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষির শিকার হন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার ডান চোখের পাশের অংশ ফেটে যায়। বর্তমানে তিনি চোখে ঝাপসা দেখছেন।

এদিকে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তোফায়েল আহমেদ জানান, এরকম কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তবে আমি মুঠোফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে একটি মেসেজ পেয়েছি সেখানে নাম পর্যন্ত উল্লেখ নেই । আর এ ধরনের ঘটনা ছাত্রকল্যাণ দপ্তরে অভিযোগ করা উচিত।

আহত মোহাম্মদ সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ও অভিযুক্ত ২ জন শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। এদিকে সোমবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দুই হলের '২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নতুন করে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েন। 

মঙ্গলবার রাতের ঘটনার বর্ণনা অভিযুক্ত সিফাত বলেন, আমরা পুর্বের ঘটনার মিমাংসা করার জন্য বঙ্গবন্ধু হলে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে বঙ্গবন্ধু হলের '২০ ব্যাচের অন্তত ৩০-৩৫ জনের একটি গ্রুপ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমার পাঁচ-ছয়জন বন্ধু গুরুতর আহত হই। তবে কিছুক্ষণ পরে সিনিয়র ভাইরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালকসহ হলের সহকারী প্রভোস্টরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তবে উনারা আসার আগেই আমরা সব বিষয়ে মিমাংসা করে নিয়েছি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরে উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আহত শিক্ষার্থী আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। বরং বলেছে যে সে পড়ে গিয়ে এই আঘাত পেয়েছে। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence