গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার বেড়াজালে স্বপ্নভঙ্গ ঢাবিতে সুযোগ পাওয়া শাওনের

শাওন চৌধুরী, ঢাবি ও নোবিপ্রবি লোগো
শাওন চৌধুরী, ঢাবি ও নোবিপ্রবি লোগো  © টিডিসি ফটো

চান্স পেয়েও গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার কঠোর নিয়মের প্যাঁচে পড়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে শাওন চৌধুরী নামে এক ভর্তিচ্ছুর। এই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিষয়ে ভর্তি বাতিল করে গুচ্ছভুক্ত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চেয়েছিলেন । 

শনিবার (১২ নভেম্বর) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি হতে এসে জিএসটি ভর্তি প্রক্রিয়ায় মারপ্যাঁচের শিকার হন শাওন। সার্টিফিকেট জমা ছাড়া ভর্তি না নেওয়ার নিয়মের বেড়াজালে এই শিক্ষার্থীকে ভর্তি না নিয়েই ফিরিয়ে দিয়েছে নোবিপ্রবি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিলাম। তবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ায় নোবিপ্রবিতে আবেদন করি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ভালো সাবজেক্ট আসে আমার। ভালো সাবজেক্টে পড়ার আশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিলের জন্য আবেদন করি। আমার ভর্তি বাতিল প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। রবিবার (১৩ নভেম্বর) ভর্তি বাতিল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে আমার মূল কাগজপত্র ফিরিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

তিনি জানান, জিএসটির অধীনে নোবিপ্রবিতে ভর্তির আজ শেষ সময়। নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা জমা দিয়ে ভর্তি হতে এসেছি। কিন্তু মূল কাগজপত্র দিতে না পারায় আমাকে ভর্তি নেয়নি নোবিপ্রবি। 

এই শিক্ষার্থী আরো জানান, একদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল অন্যদিকে জিএসটি ভর্তি প্রক্রিয়ার মারপ্যাঁচে নোবিপ্রবিতে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হলাম। এমতাবস্থায় আমার উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে গেল। আমার শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। 

এ বিষয়ে নোবিপ্রবি ভর্তি পরিচালনা কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের জিএসটি ভর্তি নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। জিএসটি ভর্তি প্রক্রিয়ায় মূল কাগজপত্র জমা ছাড়া ভর্তি হওয়ার কোন নিয়ম নেই। বিগত বছরগুলোতে যখন নোবিপ্রবি প্রশাসন নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতো, তখন আমরা ফটোকপি কাগজপত্র জমা দিয়ে মূল কাগজপত্র জমা দেওয়ার একটা সময় বেঁধে দিতে পারতাম। কিন্তু জিএসটি ভর্তি প্রক্রিয়ার নিয়মের কারণে ওই শিক্ষার্থীর আর নোবিপ্রবিতে আর ভর্তি হওয়ায় সুযোগ নেই। যদি জিএসটি কর্তৃপক্ষ এদের পুনরায় ভর্তির সুযোগ করে না দেয়।’’

নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, গুচ্ছের নিয়মের বাহিরে গিয়ে আমরা কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। গুচ্ছ ভর্তি পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মূল কাগজপত্র ছাড়া ভর্তি নিতে আমাদের নিষেধ করে দিয়েছেন। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে আমাদেরকে জিএসটিতে জবাবদিহি করতে হবে। 

জানতে চাইলে জিএসটি ভর্তি পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি নোবিপ্রবি উপাচার্যকে জানিয়ে দিয়েছি কি করতে হবে, উনার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 


সর্বশেষ সংবাদ