‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু বানানোর নেপথ্যের কারিগর ছিলেন বঙ্গমাতা’

ডা. দীপু মনি
ডা. দীপু মনি  © ফাইল ফটো

শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে জানার তেমন চর্চাই ছিল না। অথচ খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার সকল সংগ্রামের নেপথ্যে যে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু তার জীবনের ৪০ ভাগ সময় জেলে, ৪৮ ভাগ সময় সাংগঠনিক কাজে এবং মাত্র ১২ ভাগ সময় পরিবারে কাটিয়েছেন। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সংসার চালিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর মামলা চালিয়েছেন পাশাপাশি পুরো আওয়ামী লীগই ছিল বঙ্গমাতার পরিবার। ইতিহাসের খুব গুরিত্বপুর্ন সময়ে বঙ্গমাতার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলার মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল।

বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘটনাকে সামাজিক ভাবে বৈধতা দেয়ার জন্য দশকের পর দশক অপ্রপ্রচার চালানো হয়েছিল। ঘাতকেরা জানত বঙ্গবন্ধু কোন ব্যাক্তি নয় তিনি একটি আদর্শ। তারা এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে শুধু সরকার পতনই নয় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের চরিত্রকে পাল্টে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি স্টাইলের একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলেন। তাই তারা বঙ্গবন্ধুকে নির্বংশ করতে চেয়েছিল। ঘাতকদের সকল ষঢ়যন্ত্রকে মিথ্যা প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিত করিয়েছেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সকল অর্জনের প্রেরণাদায়ী ছিলেন বঙ্গমাতা। আড়ালে থেকে বঙ্গবন্ধুকে সৎ পরামর্শ দিতেন বঙ্গমাতা। বঙ্গমাতার পরামর্শেই বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষন দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু বেচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হত। বঙ্গবন্ধুর মত বঙ্গবন্ধু কন্যাও এ দেশটাকে ভালোবাসেন তাই বাংলাদেশ আজ ধীরে ধীরে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব যদি জেল খানায় কিছু কাগজ ও কলম না দিতেন তাহলে আমরা আজ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পেতাম না। তিনি বলেন আমরা জানি বঙ্গবন্ধুর সময় দেশে দূভিক্ষ হয়েছিল যা সত্য নয়। বিশ্ব ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী ঐ সময় দেশের জিডিপি ছিল ৯ শতাংশ। যা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় প্রজন্ম আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও হাউজ অফ কমন্সে রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ