আরও দু’ধাপে বাড়বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং মাউশি মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং মাউশি মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের কারণে টানা বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়ছে। তবে কতদিন বাড়বে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হলেও এরপরও খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আরও অন্তত দুই ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি থাকতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি। আপাতত আমাদের ভাবনা, মার্চ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস পুরোপুরি শুরু করা। অন্য ক্লাসও ধাপে ধাপে শুরু হবে। তবে এটি সরকারের ভাবনা, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়।’

এ বিষয়টি করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। স্কুল-কলেজ খোলার মতো অবস্থা নেই। ফলে ১৬ জানুয়ারির পর ছুটি আবারও বাড়ানো হতে পারে।’ কতদিন ছুটি বাড়বে, এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।

মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা, অপেক্ষা ভ্যাকসিনের

এদিকে আগামী মার্চ পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও আপাতত একমাস ছুটি বাড়তে বলে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে আরও অন্তত দু’দফা ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এছাড়া করোনার ভ্যাকসিন দেশে আসলে এবং প্রয়োগ শুরু হলে ক্লাস শুরুর কার্যক্রম গতি পাবে বলে জানা গেছে। আপাতত ছুটি ১৫ দিন থেকে এক মাস বাড়তে পারে এবং দু-একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়ানো হতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’ পরিস্থিতি বিবেচনায় ছুটি বাড়লেও প্রাথমিকে অনলাইন পাঠদান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ