২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা পেছাচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

  © প্রতীকী ছবি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা নিতে চাই। তিন মাসের ক্লাস নিয়ে এ পরীক্ষা হবে। তবে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা হচ্ছে না। দুই/এক মাস হয়তো পেছাবে। এরমধ্যে তিন মাসে যতটুকু পড়ানো হবে ততটুকু নিয়েই পরীক্ষা নেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে সপ্তাহে ৬দিন তাদের ক্লাস করানো হবে। এছাড়া আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষা পেছাবে বলেও জানান তিনি।

আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ না কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে বলেই মনে হচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাটা ঠিক হবে না। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানা যাবে না। এজন্য করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলেও জানান তিনি।

এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বলেন, বিশেষজ্ঞরা তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। এসএসসি ও জেএসসির রেজাল্ট নিয়েই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। তবে এসএসসির ফল ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসি ২৫ শতাংশ গুরুত্ব পেতে পারে। এছাড়া সব বিষয়ে তো ক্লাস্টার করা যাবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। তার আলোকেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এসময় ডিসেম্বরের মধ্যেই এইচএসসির ফলাফ প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

মাধ্যমিকে ভর্তির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে। ইতিমধ্যে ভর্তির সময় চলে এসেছে। তবে চলতি বছর আগের নিয়মে ভর্তি সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশেষজ্ঞ, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে তিনটি বিকল্প থেকে একটি বেছে নেয়া হয়েছে

তিনি বলেন, আমরা স্কুলে ভর্তির জন্য তিন বিকল্প নিয়ে কাজ করছি। এরমধ্যে প্রথমটি সরাসরি স্কুলে এনে ভর্তি করা। তবে এ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না। এতে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হবে। এমসিকিউ পদ্ধতির কথাও চিন্তা করেছি। দ্বিতীয় বিকল্প অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া, এটি করা গেলে নিরাপদ হবে। তবে সবার ডিভাইস নেই। আবার সংযোগের সমস্যা আছে। এজন্য আমরা এটি

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তৃতীয়টি বিকল্পটি হলো লটারির মাধ্যমে ভর্তি। এবার লটারির মাধ্যমেই ভর্তি করা হবে। এবার ভাগ্যের উপর নির্ভর করতে হবে। যোগ্যতাভিত্তিক হবে না। এতে বড় ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হবে। নীতিমালায় ঢাকায় ক্যাচমেন্ট এরিয়া ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ