প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ হতে পারে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০৮ PM , আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২৪ PM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হতে পারে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে। নিয়োগের পূর্বে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং আবেদনগ্রহণ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধান, অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য নতুন আইন জারির প্রয়োজন নেই। এনটিআরসিএর বিদ্যমান আইন এবং বিধিমালার মাধ্যমে এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে সংস্থাটি। এ পদগুলোতে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপর আবেদন করবেন প্রার্থীরা।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। এরপর মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। তবে যদি প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হয়, তাহলে অল্প নম্বরের এমসিকিউ অথবা লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম-সচিব দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বয়স এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ সুপারিশ করা হতে পারে। বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এভাবেই নিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলে, এনটিআরসিএ চাইলে মৌখিক পরীক্ষার পাশাপাশি এমসিকিউ নিতে পারে।’
এনটিআরসিএর আইন ও বিধিমালা সংশোধন ছাড়াই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এনটিআরসিএ আইন-২০০৫ এবং বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ নিয়োগ হবে।’
গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সভায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান, সহকারী প্রধান, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। পরে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নিয়োগে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা হত। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভায় কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হত। শিক্ষা বোর্ড তাদের মধ্য থেকে একজনকে নিয়োগ দিত। তবে এতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। ঘুষ এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির সুপারিশে এ পদটিতে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)।
গত ২৮ জানুয়ারি ডিআইএর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে এক প্রস্তাব পাঠান। প্রস্তাবে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান ও সহকারী প্রধান, সুপারিনটেনডেন্ট, সহকারী সুপার এবং অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে এনটিআরসিএ থেকে প্রার্থী নির্বাচন ও সুপারিশ সংক্রান্ত প্রস্তাব বিবেচনার জন্য পাঠানো হলো।
এতে এনটিআরসিএ আইন সংশোধন ও একটি নতুন ধারা, উপধারা সংযোজন, প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও সহকারী প্রধান এবং কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ বিধিমালা প্রণয়নের কথাও বলা হয়েছে। সংসদ কার্যকর না থাকায় বিকল্প উপায়ে অর্ডিন্যান্স জারির কথাও বলা হয়। এবার এসব বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।