বদলির জন্য স্কুল-কলেজের শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ শুরু কবে, যা বলছে মন্ত্রণালয়-মাউশি

সরকারি ও মাউশি লোগো
সরকারি ও মাউশি লোগো  © ফাইল ফটো

বেসরকারি মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষকদের বদলির জন্য শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। মেমিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে স্কুল-কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির জন্য শূন্য পদের তথ্য কবে থেকে সংগ্রহ করা শুরু হবে?

স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের বদলির জন্য শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর তথ্য জানতে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস। তবে তারা কেউই নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাতে পারেননি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘মাদ্রাসার শূন্য পদের তথ্য নেওয়া শুরু হলেও স্কুল-কলেজের তথ্য কবে থেকে সংগ্রহ সেটি নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। কেননা আদালতের রুল নিষ্পত্তি এবং সফটওয়্যার সংক্রান্ত সমস্যা এখনো সমাধান হয়নি। বিষয়গুলো নিয়ে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এজন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তবে শিক্ষকদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। দ্রুত বদলি চালুর বিষয়ে আমরা বদ্ধ পরিকর।’ 

মাউশির মাধ্যমিক শাখার এক কর্মকর্ত বলেন, ‘মাদ্রাসার শূন্য পদের তথ্য নেওয়া শুরু হলেও তাদের বদলি কার্যক্রম শুরু হতে বিলম্ব হবে। কেননা আমরা একটি সফটওয়্যার তৈরি করলেও মাদ্রাসা কোনো সফটওয়্যার বানায়নি। এটি শিক্ষকদের শান্ত রাখার জন্য করা হয়ে থাকতে পারে। আমরা যে সফটওয়্যার তৈরি করেছি সেটি মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়নি। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে অনেক আগেই শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করা যেত।’

জানা গেছে, এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা নিয়োগ পেলেও দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে থেকে যান, যা শিক্ষকতা পেশার বিকাশে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বদলির সুযোগ চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে সফটওয়্যারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

শিক্ষকদের অভিযোগ, এ ধরনের দ্বন্দ্ব মূলত প্রশাসনিক অদক্ষতা ও দায়িত্ব পালনের অভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। তারা দ্রুত এ কার্যক্রম শুরু করে স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে বদলি কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ