প্রযুক্তির অপব্যবহারে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা হারিয়ে যাচ্ছে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৪:২৬ PM , আপডেট: ০২ জুন ২০২৪, ০৪:৩২ PM
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য অত্যাবশ্যকীয় চারটি স্তম্ভ হলো স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সরকার। প্রত্যাশিত স্মার্ট নাগরিকগণ অবশ্যই সৎ, নিষ্ঠাবান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, দুর্নীতিমুক্ত ও দেশপ্রেমিক হবেন। যেহেতু দেশের প্রায় অর্ধেকই নারী সমাজ, তাই স্মার্ট বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে হলে স্মার্ট নারী সমাজ গড়ে তুলতেই হবে। সেই লক্ষ্যে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই সুশিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
আজ রবিবার (২ জুন) সকালে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ অডিটরিয়ামে প্রতিষ্ঠানটির “বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ-২০২৪” এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যান্ত্রিক জীবন আর আধুনিকতার নামে প্রযুক্তির অপব্যবহার যেভাবে বাড়ছে তাতে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে একদিকে যেমন সমাজের এই হারিয়ে যাওয়া শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো যায়; তেমনি যুবসমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দূরে রেখে সঠিক পথে এগিয়ে নেয়া যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারী শিক্ষায় অনন্য এক প্রতিষ্ঠান ইডেন মহিলা কলেজ; বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এখানকার শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ, প্রতিবাদী ও সাহসী ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশের প্রশাসন, রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি সকল ক্ষেত্রেই এই কলেজের ছাত্রীদের রয়েছে গর্বিত বিচরণ।
বেগম শামসুন নাহার বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ, সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন করছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বেই উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার বাংলাদেশ এখন সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ সরকার সময়োপযোগী নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতার আগে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় তিনি “বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ-২০২৪” এর আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ে তুলতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, ইডেন মহিলা কলেজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ও পরিবেশ অত্যন্ত ভাল, নারী শিক্ষায় এর অবদান প্রশংসনীয়, সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় কলেজটির সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপাধ্যক্ষ ড. মমতাজ সাহানারা, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক সুফিয়া আখতার, বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সাবরুনা আহমেদ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।