নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি, শিক্ষা ক্যাডারের দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৬ PM , আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪২ PM
সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের এই দুই শিক্ষককে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। আজ বুধবার বরখাস্ত আদেশটি দুই শিক্ষক হাতে পান।
বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকেরা হলেন কলেজটির অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুস সালাম ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক রিবেন ধর।
নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখার সচিব সোলেমান খান এই সাময়িক বরখাস্ত আদেশ দেন।
জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ২০ ডিসেম্বর নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) উচ্চবিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রশিক্ষণ চলাকালে এই দুই শিক্ষক রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সঙ্গে তর্কে জড়ান বলে চিঠিতে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।
তবে ওই দিন প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষক তাঁদের অপর এক জ্যেষ্ঠ সহকর্মীর স্থলে বিকল্প কাউকে নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না, সেই অনুরোধ করেছিলেন। এই প্রস্তাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। সেদিন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম চট্টগ্রাম নগর ও সংলগ্ন ছয়টি সংসদীয় আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অফিস আদেশে বলা হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ওই দুই শিক্ষক নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে আপত্তি জানান এবং অবান্তর কথাবার্তা বলে বাগ্বিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এসব আচরণ নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী অসদাচরণ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেই মর্মে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।
আদেশে আরও বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, প্রশিক্ষণের সময় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার অভিযোগ ছিল। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।