পিএইচডি ডিগ্রির ভাইভা দিলেন মিজানুর রহমান আজহারী

মিজানুর রহমান আজহারী
মিজানুর রহমান আজহারী  © সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ায় উচ্চতর শিক্ষার ডিগ্রি ডক্টর অব ফিলোসফির (পিএইচডি) ভাইভা দিয়েছেন আলোচিত ধর্মীয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। এটিকে বেশ চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, মিজানুর রহমান আজহারীর ফেসবুক পোস্টের পর তার ভক্ত-অনুসারীরা তাকে বিষয়টি নিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেন। সেখানে তাদের অনেকে ‘পিএইচডি ডিগ্রির ভাইভা’কে ‘পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন’ বলে প্রচার করতে দেখা গেছে। এতে ব্যবহারকারীদের মাঝে এক ধরনের বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন: মিজানুর রহমান আজহারীকে যেমন দেখেছি

আশিকুজ্জামান হিমেল নামে একজন ব্যবহারকারী আজহারীর ছবি যোগ করে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন মিজানুর রহমান আজহারী হুজুরকে। আজ তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া থেকে সফলভাবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সাথে তার জন্য দোয়া রইলো, আল্লাহ যেন আপনাকে আমাদের মাঝে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আনেন।’’

আরও পড়ুন: সিলেটে মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ নিষিদ্ধ

পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়ে আজহারী ফেসুবকে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আল্লাহ তা’আলার অশেষ মেহেরবানিতে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ায় আজ দুপুরে আমার পিএইচডি ভাইভা সফলতার সাথে সম্পন্ন করলাম।

আরও পড়ুন: আজহারী যেন এক হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা!

তিনি আরও লিখেন, দা’ওয়াহ ব্যস্ততা এবং একাডেমিক ব্যস্ততা— দুটোকে সমন্বয় করা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। মহান রবের দরবারে লাখোকোটি শুকর এবং সুজুদ যে তিনি তাঁর এ নগন্য গোলামকে তাওফিক দিয়েছেন। লাকাল হামদু ওয়া লাকাশ্শুকরু ইয়া রাব্বি। সবার কাছে আন্তরিক দু’আর নিবেদন।

আরও পড়ুন: আজহারী-তারেক মনোয়ারের আবেগঘন দৃশ্য ভাইরাল (ভিডিও)

আজহারীর ফেসবুক স্ট্যাটাসটিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৯৭ হাজার ব্যবহারকারী এতে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এছাড়া প্রায় ৬১ হাজার মানুষ স্ট্যাটাসটি পড়ে মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যের ঘরেও অনেকে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কেউ কেউ এখানেও পিএইচডি ডিগ্রির ভাইভাকে ডিগ্রি ‘অর্জন’ বলে উল্লেখ করেছেন।

মোহাম্মাদ মিনহাজ উদ্দিন নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, খুবই খুশির সংবাদ। আল্লাহ তাআলা আপনাকে আরও বেশি দ্বীনের খিদমাতে নিয়োজিত করুন। আপনার মাধ্যমে মানুষের জীবনে বিপুল পরিবর্তন আনুন।

আজহারী দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা থেকে যথাক্রমে ২০০৪ সালে দাখিল ও ২০০৬ সালে আলিম পাশ করেন। তিনি উভয় পরীক্ষাতেই বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে মেধাতালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেন। ২০০৭ সালে ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মিশরীয় সরকারের স্কলারশিপ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।

পরবর্তীতে তিনি মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে তাফসির ও কুরআনভিত্তিক বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ করে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার এমফিলের গবেষণার বিষয় ছিল ‘হিউম্যান এম্ব্রায়োলজি ইন দ্য হোলি কুরআন’ (পবিত্র কুরআনে মানব ভ্রূণবিদ্যা)। তারপর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন। তিনি ‘হিউম্যান বিহ্যাভিয়ারেল ক্যারেক্টারইসটিক্স ইন দ্যা হোলি কুরআন অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল স্টাডি’ (পবিত্র কুরআন ও বিশ্লেষণী গবেষণায় মানব আচরণগত বৈশিষ্ট্য)-এর ওপর পিএইচডি গবেষণা করছেন।