ঢাবির সব পরীক্ষা অনলাইনে হবে, উপ-উপাচার্য এ কথা বলেননি
- টিডিসি ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ জুন ২০২১, ০৫:০৩ PM , আপডেট: ২৬ জুন ২০২১, ১১:২৬ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরীক্ষা অনলাইনে নাকি সরাসরি হবে তা নিয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের বক্তব্য একাধিক সংবাদমাধ্যমে বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছে।
আজ সোমবার একাত্তর টিলিভিশনের স্ক্রলে সর্বশেষ সংবাদে এ সংক্রান্ত খবরটি ‘সংক্রমণ বাড়ায় ১ জুলাই থেকে অনলাইনে পরীক্ষা: উপ-উপাচার্য’ শিরোনামে প্রচার করা হয়।
এ ছাড়াও আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ক্যাম্পাস জার্নালের ফেসবুক পেজে ঢাবি উপ-উপাচার্যের ছবি যুক্ত করে তাতে ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ১ জুলাই থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হবে’ বাক্যটি লিখে পোস্ট করা হয়। তবে পোর্টালটির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য ড. সামাদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ বিভাগের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। সংশ্লিষ্ট বিভাগ চাইলে অনলাইনে নিতে পারে আবার অফলাইনেও নিতে পারে। এ সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া আছে। তবে করোনা সংক্রমণ যেহেতু বাড়ছে, সামনের পরীক্ষাগুলো অনলাইনে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
গতকাল রোববার অনলাইন পোর্টাল ঢাকা পোস্টকে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের নেই। এটা সময় লাগবে, এত সহজে হবে না। অনলাইন ক্লাসেই আমাদের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৪৫ শতাংশের মত। আরও ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের বাইরে। যেখানে অনলাইন ক্লাসে এত পরিমাণ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত, তাদেরকে রেখে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া অযৌক্তিক।’
এ সময় অবশ্য তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ টিকা দিয়ে, হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে আমার স্পষ্ট মতামত। এখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আনা সমীচীন হবে না। কিছু পরীক্ষা আছে যেমন, একটা ভাইভা, ব্যবহারিক কিংবা দুয়েকটা পরীক্ষার জন্য আটকে আছে। তারা যদি নিজেরা করে দিতে পারে সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু সেটাও এখন ঝুঁকিপূর্ণ।’
ক্যাম্পাস জার্নালের পোস্টটির কারণে অনেক শিক্ষার্থীর বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সোমবার বিকেলে স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফেসবুক গ্রুপে রাহনুমা তাবাসসুম নামের একজন ক্যাম্পাস জার্নালের পোস্টের ছবিটি শেয়ার করেন। এক ঘণ্টায় সেখানে ৫১টি মন্তব্য পড়ে। এতে প্রতীয়মান হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য বা অবস্থান নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন।