শিল্প ও শিক্ষায়তনে ঘনিষ্ঠ সংযুক্তি থাকা প্রয়োজন: ঢাবি ভিসি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০৪:৫৬ PM , আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০৫:১৯ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘শিল্প ও শিক্ষায়তনের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ সংযুক্তি থাকা আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিছু ধারণা উদ্ভাবন ও কিছু তত্ত্ব বিকশিত করবে কিন্তু সেগুলোর ব্যবহারিকতা ও প্রযোজ্যতা বাস্তবায়ন করবে শিল্প। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পের মধ্যে সংযুক্তি ঘটানো বাধ্যতামূলক।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন মানুষ যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করবে তখন সভ্যতা দ্রুত থেকে দ্রুত উন্নত হতে। কিন্তু যখন যন্ত্র মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করবে তখন সভ্যতার পতন ঘটবে।’ তাই নতুন প্রজন্মের তরুণদের সিদ্ধান্তগুলো কোনো প্রযুক্তির ওপর নির্ভর না করে নিজেরা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করেন উপাচার্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে ‘চাকরির জন্য অনুশীলন কেন্দ্রিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ’ বিষয়ক দিনব্যাপী সেমিনার। সেখানে উদ্বোধনী বক্তব্যে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও ডেলিগেটদের উদ্দেশ্য এই আহ্বান জানান তিনি।
আজ রোববার (৪ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল দশটায় দিনব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় উদ্বোধনী ভাষণ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেশ ওসমান বলেন, ‘জ্ঞান বড় সম্পদ, চর্চায় বেড়ে যায়, নদীর স্রোতের মতো, থেমে গেলে মরে যায়। আমাদের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগোতে হবে। একসময় আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে অনেক অনেক দূর এগিয়ে যাবো। কিন্তু মানবতা হারানো যাবে না। কখনো মানবতা হারানো যাবে না। আমরা যাই করি, তা হবে মানবতার জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য। রোবটের জন্য নয়। আমরা আমাদের জন্য কাজ করি। আমরা রোবট নই।’
তিনি বলেন, ‘এখন বিজ্ঞান ও শিল্পের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযুক্তি ঘটানোর যুগ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সেই সমন্বয় ঘটাতে পারছি না। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পের সংযুক্তি ঘটাতে হবে।’
বক্তব্য দেওয়ার আগে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নিজের লেখা একটি শোক কবিতা পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসাইন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিভূতি রয় ও সিঙ্গাপুর ফেস্টো লিমিটেডের শিক্ষা সেবার ব্যবস্থাপক মি. ফু টেক কুং উপস্থিত ছিলেন।