ইলিশের মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানাল ট্যারিফ কমিশন

পাঁচ বছরে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম বেড়েছে ৫৭ শতাংশ

ইলিশ
ইলিশ  © সংগৃহীত

দেশের বাজারে ইলিশের মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) বা ট্যারিফ কমিশন। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইলিশ মাছের দরদাম নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাম বৃদ্ধির অন্তত ১১টি কারণ জানিয়েছে কমিশন।

এতে বলা হয়েছে, ইলিশের দাম বৃদ্ধির কারণগুলো হলো চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা, মজুত ও সিন্ডিকেট, জ্বালানি তেল ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, মাছ ধরার খরচ বৃদ্ধি, নদীর নাব্যতা সংকট ও পরিবেশগত সমস্যা, অবৈধ জালের ব্যবহার, দাদন, বিকল্প কর্মসংস্থান, নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ও রপ্তানির চাপ।

এতে ইলিশের আকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার সুপারিশ ও করেছে সরকারি এই সংস্থা।

ট্যারিফ কমিশন আরও বলেছে, স্থানীয় বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে ইলিশ রপ্তানি করা হয়। সেপ্টেম্বরে দেশের বাজারে এক কেজি ইলিশের দাম সর্বনিম্ন ৯০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দাম ২ হাজার ২০০ টাকা ছিল। অন্যদিকে চলতি মাসে ভারতে রপ্তানি করা এক কেজি ইলিশের দাম পড়েছে গড়ে ১ হাজার ৫৩৪ টাকা। এ পর্যন্ত ৯৭ টনের বেশি ভারতে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান রপ্তানি মূল্যে যদি ব্যবসায়ীরা মুনাফা করতে পারেন, তাহলে স্থানীয় বাজারের মূল্যে ব্যবসায়ীরা উৎপাদন মূল্যের (সংগৃহীত মূল্য) তুলনায় অস্বাভাবিক হারে মুনাফা করছেন।

কমিশন বলছে, গত চার মাসে ইলিশের দামের ঊর্ধ্বগতি বেশ লক্ষণীয়। গত জুনে প্রতি কেজি ইলিশের দাম ছিল ৬০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। জুলাইয়ে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকা। আগস্টে সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দাম কিছুটা কমে হয় ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে ৯০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় উন্নীত হয়।

এছাড়া গত পাঁচ বছরে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম ৫৭ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।


সর্বশেষ সংবাদ