বদলির তথ্য দেয়ার সফটওয়্যার অধ্যক্ষদের জন্য উন্মুক্ত করা নিয়ে যা জানাল মাউশি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:২১ PM , আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৭ PM
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বদলির জন্য তথ্য ইনপুটের সফটওয়্যার এখনো মাঠ পর্যায়ে পাঠাতে পারেনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তথ্য ইনপুটের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে।
সোমবার (০৭ জুলাই) নিজ দপ্তরে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব কথা জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপ-পরিচালক মো. ইউনুছ ফারুকী।
মাউশির এ কর্মকর্তা জানান, ‘তথ্য ইনপুটের সফটওয়্যার হালনাগাদের কাজ চলছে। কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেগুলো সমাধান করা হচ্ছে। সফটওয়্যার পুরোপুরি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এটি উন্মুক্ত করা সমীচীন হবে না। সেজন্য আমরা আরও কিছুদিন সময় নিতে চাই। তবে যত দ্রুত সম্ভব, এটি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে।’
কবে নাগাদ তথ্য ইনপুটের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মো. ইউনুছ ফারুকী বলেন, এটি নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য সফটওয়্যার উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জানা গেছে, এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করতে যে সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে, সেটির ডেমো গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাউশির ঊর্ধ্বতনদের সামনে প্রদর্শন করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তার স্কুল-কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের তথ্য ইনপুট দেবেন। আগামী ৭ জুলাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোকে সফটওয়্যারে প্রবেশের এক্সেস দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মাউশির একটি সূত্র দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, তৈরিকৃত সফটওয়্যারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পদ ও শূন্য পদের তথ্য দেখা যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য এবং প্রদত্ত তথ্য যাচাই করারও সুযোগ থাকছে সফটওয়্যারে। প্রতিষ্ঠান প্রধান যে তথ্য দেবেন সেটি যাচাই করে ফরওয়ার্ড করবে উপজেলা শিক্ষা অফিস। পরবর্তীতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পুনরায় তথ্য যাচাই করে সেটি মাউশিতে পাঠাবেন। আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে কোনো তথ্য যাচাই করা হবে না।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাউশির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘তৈরিকৃত সফটওয়্যারে শিক্ষকদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে কোন বিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেয়েছেন, কমিটি নাকি এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন, কোন বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন, পদের নামসহ আরও বেশকিছু বিষয়ের তথ্য দিতে হবে। এ তথ্যের ভিত্তিতেই মূলত শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে। শিক্ষকরা আগে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। তবে আমলাদের বিরোধীতার কারণে সম্প্রতি সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের কারণে বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। চলতি বছর থেকে এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।