শিক্ষার্থীদের হয়রানি রোধে ৫১৭ স্কুল-মাদ্রাসায় বসছে সিসিটিভি
- রায়হান উদ্দিন
- প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ০৫:৫৯ PM , আপডেট: ২৭ মে ২০২৫, ০৯:৫৭ AM
দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘটছে বুলিং ও শিক্ষার্থী হয়রানির ঘটনা, প্রতিরোধেও নেওয়া হয় নানা পদক্ষেপ। এবার মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন, কাউন্সেলিংসহ নজরদারি বাড়াতে ও হয়রানি রোধে দেশের ৫১৭ স্কুল-মাদ্রাসায় সিসিটিভি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে মাউশি। বিষয়টি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন মাউশির লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন-এর প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক শিপন কুমার দাস।
জানা গেছে, লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রকল্পের আওতায় ২০২৬ সালের অর্থ্যাৎ নতুন বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের মানসিক স্থাস্থ্য উন্নয়ন, কাউন্সেলিং, এবং বুলিং প্রতিরোধে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৮০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রায় ২৮ হাজার স্কুল ও মাদ্রাসা এ প্রশিক্ষণের আওতায় পড়বে। প্রতি প্রতিষ্ঠান থেকে গড় প্রতি ৪ জনকে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। প্রতিটি জেলাতে শিক্ষক প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে। টানা ১০-১২ দিন চলবে শিক্ষকদের এ প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ চলাকালীন দেওয়া হবে সম্মানি ভাতা।
বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় চালু হওয়া ‘লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রকল্পটি’ বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে থাকছে, শিক্ষকদের মান উন্নয়নে ট্রেনিং, মাধ্যমিক পর্যায়ে বুলিং প্রতিরোধে ৫১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন; ৬ হাজার ৯২৮টি স্কুল ও ৩ হাজার ৪১২টি মাদ্রাসার প্রতিটিতে ২টি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের ২৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ পাবেন প্রায় সোয়া লাখ শিক্ষক
এ ছাড়াও ১৮ হাজার ৮৯৪টি স্কুল, ৯ হাজার ২৯১টি মাদ্রাসা, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১ হাজার ৪২০টিতে হবে লাইব্রেরি উন্নয়ন; ৩০ হাজার ৫৮৫ জন শিক্ষককে দেওয়া হবে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ; ব্লেন্ডেড লার্নিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবেন ৬০ হাজার ৪৮০ জন শিক্ষক ও ২৭ হাজার ১৮০ জন নতুন শিক্ষককে দেওয়া হবে বেসিক প্রশিক্ষণসহ থাকছে বেশকিছু প্রশিক্ষণ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রকল্প ২০২৮ সালের মধ্যে সব কাজ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা গেছে।
তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন, কাউন্সেলিং, বুলিং প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। এমনকি শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় মাউশি এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। দক্ষ শিক্ষকরাই ভালো শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে ভুুমিকা রাখবে। শিক্ষক ও শিক্ষাখাতে মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।