এপ্রিলের বেতন নিয়ে দুঃসংবাদ দিল ইএমআইএস সেল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৬:৩৯ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০২:০৬ PM
বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এপ্রিল মাসের বেতনের প্রস্তাব এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়নি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ফলে আগামী সপ্তাহে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মাউশির এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেল জানিয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের এপ্রিলের বেতনের প্রস্তাব পাঠানোর কিছু কার্যক্রম এখনো শেষ করা সম্ভব হয়নি। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। এরপর আগামী সোম অথবা মঙ্গলবার বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে।
এ বিষয়ে ইএমআইএস সেলের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, স্কুল-করেলজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখা থেকে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে এপ্রিলের বেতনের অর্থ ব্যাংকে পাঠানো সম্ভব হবে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ইএমআইএস সেলের আরেক কর্মকর্তা জানান, আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও আগামী সপ্তাহে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেননা তাদের বেতনের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়, চিফ অ্যাকাউন্টস অফিস হয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যায়। এ কাজগুলো শেষ করতে চার থেকে পাঁচ কার্যদিবস প্রয়োজন। ফলে এপ্রিলের বেতন পেতে তাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারী ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন। তবে তারা এখনো এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতা পাননি। আগামী সপ্তাহে বেতন পাওয়ার কথা থাকলেও বেতনের প্রস্তাব না পাঠানোয় সেই সম্ভাবানও ক্ষীণ হয়ে গেল।