কীভাবে বেঁচে আছি— তা একমাত্র আল্লাহ জানেন!

ডাকসু ভিপির কক্ষ, হামলাস্থল
ডাকসু ভিপির কক্ষ, হামলাস্থল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর-রাশেদদের ওপর হামলা চালিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। রোববারবেলা পৌনে ১টার দিকে এ হামলা চালানো হয়। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এই ঘটনার বর্ণনা ও প্রক্টরের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। স্ট্যাটাসে তিনি সব কিছুর জন্য প্রক্টরের অবহেলাকে দায়ী করেন।

রাশেদ লিখেন, ‘‘আপনাদের এটুকু জানিয়ে রাখি- আমাদেরকে মারধরের আগে প্রক্টরকে আমি কয়েকবার কল করি। এর মধ্যে তিনি ৩ বার কল ধরেন। প্রথম দফায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে আসতে বললে তিনি বলেন, প্রক্টরিয়াল টিম পাঠাচ্ছি, কিন্তু তিনি পাঠান না এবং নিজেও আসেন না। এরপর ১ ঘন্টা পেরিয়ে যায়৷ আমি বারবার তাকে কল করি। তাকে জানাই, স্যার আমরা অবরুদ্ধ। তিনি আমাকে বলেন, তুমি কি ডাকসুর প্রতিনিধি? তুমি ভিপির রুমে কেন গিয়েছ? আমি বলি, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আমার কি অধিকার নাই ডাকসুতে আসার? এরপর তিনি গালিগালাজ করে ফোন কেটে দেন।

আবারও কিছুক্ষণ পর প্রক্টরকে কল করি, তিনি কল ধরে আজেবাজে কথা বলেন। এর কিছুক্ষণ পর ভিপির রুমের লাইট-দরজা বন্ধ করে আমাদের পেটানো হয়। আমাদেরকে কীভাবে পেটানো হয়েছে তা ডাকসুর কর্মচারীদের জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন। এছাড়া সাংবাদিক সমিতির অনেকেই এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তাদের অনেকের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। ভিডিও করতে দেওয়া হয়নি। আর শুনলাম হার্ডডিস্ক ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে!

আমরা কীভাবে গতকাল বেঁচে গেছি, তা একমাত্র আল্লাহ জানেন! প্রথমে তারা ভেবেছিলো আমরা হয়তো আর কেউ বেঁচে নেই! এজন্যই তাদের কয়েকজন বলে, এই আর মারিস না, মরে যাবে। এই বলে তারা চলে যায়। এরপর যখন আমরা লাইভে গিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করি, তখন আবার মারতে আসে। ততক্ষণে আমরা দরকার বন্ধ করে দরজার সামনে আলমারি দিয়ে দিই। এরপর তারা দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। দরজার উপরের দেওয়ালে লাগানো কাঁচ ভেঙে ইট, রড নিক্ষেপ করে।

এইসব কিছুই হতে পেরেছে প্রক্টরের অবহেলার জন্য। আমি এটুকু বলি, প্রক্টর একজন মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন মানুষ নয়, প্রক্টর একজন শিক্ষক নয়, প্রক্টর কোন অভিভাবক নয়, তিনি কারও পিতা নয়, তিনি একজন দলকানা মানুষ, নির্দয় ও নিষ্ঠুর!! তিনি বড্ড পাষাণ একজন লোক.. গতকাল আমরা মারা গেলে তার জন্য তিনিই সর্বপ্রথম দায়ী থাকতেন।’’


সর্বশেষ সংবাদ