অধিভুক্তি ও ছাত্রলীগের হামলা নিয়ে যা বললেন ডাকসু ভিপি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০১৯, ১০:৩৪ PM , আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৯, ১০:৩৪ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) যারা নিয়োগ পান তারা রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পান বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদরে (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এই অভিযোগ করেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে নুরুল হক নুর বলেন, ঢাবিকে সারাদেশ অনুকরণ করে। দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠ যেভাবে পরিচালিত হয় সে অনুযায়ী দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোও পরিচালিত হয়। অথচ আজ ঢাবি প্রশাসনে এখন যারা নিয়োগ পান তারা সকলেই রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগকৃত হন। যার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন দাবিতেই প্রশাসন কর্ণপাত করে না।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের উপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আখতারসহ আমরা শুরু থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলাম। ছাত্রলীগের নেতারাও বলেছিলেন তারা এই আন্দোলনের সাথে আছে। কিন্তু আখতারের উপর হামলা তাদের আসল রূপ সবার সামনে তুলে ধরেছে।
তিনি আরও বলেন, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ২০১৮ সালেও আন্দোলন হয়েছিল। তখনো প্রশাসনের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে তা পণ্ড করে দেয়। যদি ঢাবি প্রশাসন রাজনীতির বাইরে থাকতেন তাহলে আজ শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। ছাত্রলীগকে দিয়ে একাডেমিক ভবনের তালা ভাঙতে হতো না। এখন কিছু হলেই প্রশাসন ছাত্রলীগকে নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য, ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলনে অংশ নিতে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন ভিসি চত্বরে থেকে মল চত্বর এলাকায় আসার সময় ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার আখতার বলেন, আমি মল চত্বরে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন জহুরুল হক হলের সহ সম্পাদক রাব্বীর নেতৃত্বে হঠাৎ করে একদল ছাত্রলীগ কর্মী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। আমাদের সাথে যে মেয়েরা ছিল তাদের ও লাঞ্ছিত করে। তিনি আরও বলেন, আমরা সেখান থেকে কোন রকম দৌড়ে সরে আসি।
এ হামলার নেতৃত্বদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাব্বি হক লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রাব্বি হক অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কেন হামলা করবো। আমি কোনো হামলায় নেতৃত্ব দেইনি।’
এদিকে আখতারের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। মিছিলটি রেজিস্ট্রার বিল্ডিং থেকে শুরু করে, মল, চত্বর, ভিসি চত্বর দিয়ে ঘুরে রোকেয়া হলের সামনে দিয়ে টিএসসি ঘুরে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী দিয়ে দিয়ে ঘুরে অপরাজেয় বাংলায় এসে শেষ হয়। এসময় তারা আখতারের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান।