চলেই গেলেন সেই নুসরাত

অবশেষে চলে গেলেন যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদের কারণে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া সেই নুসরাত জাহান রাফি। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।

এর আগে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তার শরীরের প্রায় ৮০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।

শনিবার সকালে ফেনীর পৌর শহরের সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সকালে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে প্রবেশের আগে নুসরাতকে কয়েকজন ‘মুখোশ পরা’ মেয়ে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। তারা নুসরাতকে জানায় যে, তার এক বান্ধবীকে ছাদে পেটানো হচ্ছে।

নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, নুসরাত কয়েকদিন আগে তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করেছিল। সেই ঘটনার জেরে ওই অধ্যক্ষের পক্ষের শিক্ষার্থীরা তার বোনকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে।

চিকিৎসকের সামনে পুলিশের জবানবন্দিতে নুসরাতও জানিয়েছেন যে, পরীক্ষার কেন্দ্রের বাইরে তাকে কয়েকটি মুখোশ পরা মেয়ে ডেকে নিয়ে যায় এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলাটি তুলে নিতে বলে। নুসরাত তাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তারা তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

গত ২৭শে মার্চ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে এমন অভিযোগে পুলিশের কাছে মামলা করে নুসরাতের পরিবার।


সর্বশেষ সংবাদ