হত্যা নাকি আত্মহত্যা— সেই শিক্ষিকার লাশ দেখে যা বলছে পুলিশ

মামুন ও খায়রুন নাহার
মামুন ও খায়রুন নাহার  © ফাইল ফটো

সামাজিক যোগাযোগমধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর বিয়ে। বিয়ের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ছাত্রকে বিয়ে করে আলোচনায় আসা আলোচিত শিক্ষিকা খায়রুন নাহার। 

শনিবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুরের এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

এদিকে খায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিহত শিক্ষিকার স্বামী মামুনের দাবি অনুযায়ী আত্মহত্যা করেছেন তার স্ত্রী। তবে কথাবার্তা ও চালচলন সন্দেহজনক হওয়ায় মামুনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৩টার দিকে মামুন তার প্রতিবেশীদের ডেকে এনে বলেন কায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবেশীরা তার ঘরে গিয়ে দেখেন খায়রুন নাহারের নিথরদেহ মেঝোতে শোয়ানো অবস্থায় রাখা আছে।

এদিকে মরদেহ উদ্ধারের সময় খায়রুন নাহারের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ফলে তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আত্মহত্যা করলেও তার মরদেহ কেন নামানো হলো? কিসের সাথে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন এসব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে পারছে না পুলিশ।

জানতে চাইলে নাটোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিদর্শক শাহাদত হোসেন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের পর এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি বোঝা যাব।


সর্বশেষ সংবাদ