‘ট্রিগার চেপে রেখেছিলাম, প্রীতির গায়ে গুলি লেগেছে জানতাম না’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২২, ০৪:১১ PM , আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২২, ০৪:১১ PM
রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুসহ দুইজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মাসুম মোহাম্মাদ আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ বলেছে, সে ভাড়াটে খুনি।
আজ রবিবার গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আকতার এক সংবাদ সম্মেলনে, শনিবার বগুড়া পুলিশের সহযোগিতায় সেখান থেকে আকাশকে গ্রেপ্তার করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের হাফিজ আকতার বলেন, গ্রেফতার মো. মাসুম ওরফে আকাশের একমাত্র ‘টার্গেট ছিলেন’ রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু। মাসুম যখন গুলি করছিলেন, তখন অস্ত্রের ট্রিগার চেপে ধরে রেখেছিলেন। সেই গুলিতে টিপুর সঙ্গে নিহত হন রিকশা আরোহী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি। আর এই ঘটনা পরে জেনেছেন মাসুম।
প্রীতি হত্যার বিষয়ে মাসুম কী জানিয়েছেন- এমন প্রশ্নে ডিবি প্রধান বলেন, অস্ত্রের ট্রিগার টিপেই রেখেছিলেন মাসুম। মাত্র কয়েক সেকেন্ডে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বের হয়। এরপর তিনি তার সহযোগীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যান।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, প্রীতি নিহতের বিষয়ে মাসুম আগে জানতেন না, পরে জেনেছেন বলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি, তাই কীসের ভিত্তিতে আপনারা (ডিবি) বলছেন মাসুম টিপুকে হত্যা করেছে?
এমন প্রশ্নে ডিবি প্রধান বলেন, অস্ত্র হলো একটি ঘটনার আলামত। ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি। এরপর ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করি প্রধান আসামিকে। একটি কিলিং হওয়ার পরে সমাজে অস্থিরতা বিরাজ করে। আমরা রাত-দিন কাজ করে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিকে ধরি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিও ঘটনা স্বীকার করেছেন। এছাড়া আসামি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন।
টিপু হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক না কি কোনো সন্ত্রাসী কিলিং মিশন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা ৩-৪টি বিষয় নিয়ে আগাচ্ছি। রাজনৈতিক না সন্ত্রাসী তা পরে জানানো হবে।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, গ্রেফতার মাসুম হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৪-৫টি মামলা রয়েছে। সে ফেরারি আসামি। এ কারণে বাড়িতে যেতে পারতেন না। তবে তার মুখের কথাই সব সত্য এমন নয়, তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
ঢাকা সেন্ট্রাল ডিপো থেকে কাট-আউট সিস্টেমে একটি মোটরসাইকেল ও একটি পিস্তল ব্যাগে করে নিয়ে আসেন মাসুম।
এ তথ্য জানিয়ে হাফিজ আক্তার বলেন, মাসুমের সঙ্গে আরেকজন ছিলেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম এখনই বলা যাবে না। হত্যাকাণ্ডে দুজন অংশগ্রহণ করেন। একজন মোটরসাইকেলচালক আরেকজন মাসুম।
ডিবি প্রধান বলেন, মাসুম একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনে পড়ালেখা করেছেন। তার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। তার স্ত্রী-সন্তানও রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে কয়েকজনের নাম আমাদের কাছে বলেছেন মাসুম।