টিকটক আসক্তি নিয়ে ঝগড়া, স্বামীর হাতে প্রাণ গেল কলেজছাত্রীর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ মে ২০২১, ১২:৩০ AM , আপডেট: ১০ মে ২০২১, ১২:৩০ AM
ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। তারপর ‘টিকটক’ ও ‘লাইকি’ অ্যাপস দিয়ে নানা ধরনের ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে পোস্ট দিতেন তারা। কিন্তু এসব অ্যাপসে স্ত্রী ভীষণ আসক্ত হয়ে পড়লে তা নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার জেরে এক পর্যায়ে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৮ মে) রাতে বাগেরহাট শহরের দশানী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পর স্বামী আবদুল্লাহ আল নাইম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।
পুলিশের দাবি করেছে, আবদুল্লাহ আল নাইম প্রাথমিকভাবে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
মারা যাওয়া সোমা আক্তার (২০) বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের সিংড়াই গ্রামের আবদুল করিম বকসের মেয়ে। সোমা বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজে ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
রবিবার (৯ মে) দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমার মা কোমেলা বেগম বাদী হয়ে জামাতা আবদুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্তর বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
আবদুল্লাহ আল নাইম বাগেরহাট শহরের দশানী এলাকার গোলাম মোহম্মদের ছেলে। সে ঢাকার একটি বায়িং হাউসে চাকরি করতেন।
সোমা আক্তারের বড় বোন নাজমা আক্তার জানান, তারা দুজন নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালে বিয়ের পর দুজনই বেকার ছিলেন। পরে টিকটক ও লাইকিতে নানা ধরনের ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করতেন দুজন। তারা সেখান থেকে রোজগারও শুরু করেন। এর মধ্যে চাকরি পেয়ে নাইম ঢাকায় গেলে সোমা তার বাবার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করা শুরু করেন। পাশাপাশি ওই অ্যাপসগুলোতে নিয়মিত ভিডিও দিতেন তিনি। সেখান থেকে আসা আয়ে সোমার ভালোই চলছিল।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, কলেজছাত্রী সোমা টিকটকে নানা ভিডিও বানিয়ে তার ফেসবুক একাউন্টে তা পোস্ট করতেন। বেশ কিছুদিন ধরে তার স্বামী তাকে এ কাজ করতে নিষেধ করে আসছিলেন। সোমা তার নিষেধ না শুনে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে যাচ্ছিলেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন টিকটক অ্যাপসে ভিডিও তৈরি করা নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ হয়। এর একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নাইম তার স্ত্রী সোমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন এবং কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তিনি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন।