স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: এএসআইসহ তিনজন ৮ দিনের রিমান্ডে

গ্রেফতারকৃত মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এএসআই রাহেনুল ইসলাম
গ্রেফতারকৃত মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এএসআই রাহেনুল ইসলাম  © সংগৃহীত

রংপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দুই নারীর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্ত্তী শুনানি শেষে রাহেনুলের ৫ ও সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়া এবং সুরভি আক্তার ওরফে সমাপ্তির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় অভিযুক্ত রাহেনুলকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে বিচারক আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। ওইদিন দুই নারীকেও আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানান মামলার পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।

এদিকে রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়।

বিচারক এএসআই রাহেনুল ইসলামের ৫ দিন এবং দুই নারীর ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।এই মামলায় গ্রেফতার আরও দুই আসামি বাবুল হোসেন (৩৮) ও আবুল কালাম আজাদ গত ২৮ অক্টোবর ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। তাদের দুজনকে কারাগারে রাখা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানাধীন ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রাহেনুল তার ছদ্মনাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে।

প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে গত ২৩ অক্টোবর সিগারেট কোম্পানির ক্যাদারের পুল এলাকার ডা. শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন রায়হানুল। পরে ২৪ অক্টোবর রাতে ভাড়াটিয়া মেঘলা ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় বাবুল ও কালাম তাকে গণধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্য রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজু ও মেঘলার নাম ‍উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আসামি করে হারাগাছ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর লালমনিরহাট থেকে দুজনকে আটক করে পিবিআই পুলিশ।


সর্বশেষ সংবাদ