গৃহবধূকে নির্যাতনের হোতা বাদল ও দেলোয়ার অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২০, ১০:২৪ AM , আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২০, ১০:২৪ AM
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার মামলার প্রধান আসামি বাদল ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত র্যাব-১১-এর অভিযানে অস্ত্রসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরমধ্যে বাদলকে ঢাকা হাইওয়ে ও দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে, জড়িত কয়েকজন ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন। সে আলোকে র্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পরে মধ্যরাতে প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা হাইওয়ে থেকে ও দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ আজ দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি জানান।
নির্যাতনের শিকার নারীর বক্তব্য ও আটককৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ছিল অন্তত পাঁচজন। তারা হচ্ছেন দেলোয়ার, বাদল, কালাম, আব্দুর রহিমসহ অপর একজন। এরমধ্যে রোববার আব্দুর রহিমকে (২২) ছাড়াও মো. রহমত উল্যাহ নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওই নারীকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গেছে পুলিশ। এসময় ওই গৃহবধূ জানান, নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২০/২৫ দিন আগে। তখন ভিডিও ধারণ করা হয়। তবে তিনি ভয়ে থানায় অভিযোগ করার সাহস পাননি।
ওই নারী পুলিশকে জানান, বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের বড়খালের পাশে নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার এতে নেতৃত্ব দেয়। ঘটনায় জড়িত ছিল বাদল, কালাম, আব্দুর রহিমসহ অপর একজন। তারা ভিডিও প্রকাশ করে দেবে বলে ভয়ে ছিলেন তিনি।
ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ওই গৃহবধূর পোশাক কেড়ে নিয়ে অভিযুক্তরা তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে থাকে। এসময় তিনি নিজেকে রক্ষায় সব ধরনের চেষ্টা করেন। এমনকি হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডেকে, পায়ে ধরেও রক্ষা পাননি। বরং দেলোয়ার তার মুখমণ্ডলে লাথি মারে। এছাড়া পা দিয়ে মুখসহ তার শরীর মাড়িয়ে দেয়। ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চিৎকার করে আরেকজন।