দুস্থদের তালিকায় এবার প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী!

  © ফাইল ফটো

দুস্থদের জন্য দেওয়া সরকারি টাকার জন্য করা নামের তালিকায় এবার এক স্কুলশিক্ষকের স্ত্রীর নাম পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তার নাম ওই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছেন উপজেলার তিন নম্বর মিরুখালী ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রুবি আলম।

জানা গেছে, তালিকায় থাকা শাহিনুর আক্তার ওই ইউপি সদস্যের দেবর ও সেখানকার রাশেদিয়া বাঁশবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হামিদ মিয়ার স্ত্রী। ওই শিক্ষক বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

আর ইউপি সদস্য রুবি আলম ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য এবং শৌলা গ্রামের আলম মাস্টারের স্ত্রী। আলম মাস্টার মঠবাড়িয়া সোনালী ব্যাংকে কর্মরত আছেন। আলম হোসেন ব্যাংকে চাকরির আগে শিক্ষকতা করায় তিনি আলম মাস্টার নামে পরিচিত।

স্থানীয়রা জনান, রুবি আলম ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে স্থানীয়দের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকাপি নিলেও সব সুবিধা তার আত্মীয়-স্বজনদের পাইয়ে দিচ্ছেন। এমনকি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অসহায় দুস্থদের সরকারি ত্রাণ বিররণ কার্যক্রমে নিজের আত্মীয়-স্বজনদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

ইউপি সদস্য রুবি আলম শাহিনুর আক্তারের নাম অন্তর্ভুক্ত করার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, ওই শিক্ষকের ব্যাংকে ও এনজিওতে লোন থাকায় আর্থিকভাবে চরম অনটনে রয়েছেন। এছাড়া তার দুই কন্যা স্নাতক শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। তাই তার পরিবারে অনেক খরচ।

তিনি আরো বলেন, তাছাড়া ওই স্কুলশিক্ষক শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ। মানবিক দিক বিবেচনা করে তার স্ত্রীকে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ. ছোবাহান শরীফ জানান, রুবি আলমের নামে আরও একাধিক স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। টাকা ছাড়া করো নাম অন্তর্ভুক্ত করেন না তিনি। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আর মঠবাড়িয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্মি ভৌমিক সাংবাদিকদেরকে বলেন, সরকারি টাকার জন্য করা তালিকায় এমন স্বজনপ্রীতি হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তারপরও অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ