ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আটক
- গাজীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৬ PM
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন এলাকায় এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দিনই এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে প্রধান শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুর মহানগরীর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খাইলকুর এলাকায়।
অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফুল ইসলাম দক্ষিণ খাইলকুর এলাকার শ্রম কল্যাণ স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযোগের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা একত্র হয়ে প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে স্কুল প্রাঙ্গণে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে উত্তেজিত জনতার কারণে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ হিমশিম খায়। পরবর্তী সময়ে গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এতে এলাকায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
অভিভাবকরা অভিযোগ করে জানান, প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন। সেই প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে স্বেচ্ছাচারিতা চালানোর পাশাপাশি একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। ভয় ও চাপের কারণে এত দিন কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি বলেও দাবি করেন তারা।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেন, দক্ষিণ খাইলকুর এলাকায় হান্নান গ্রুপের মালিক সামছুদ্দিন প্রায় আড়াই বিঘা আয়তনের একটি সরকারি খাস পুকুর ভরাট করে দখল করেন। ওই দখলকৃত জমিতেই শ্রম কল্যাণ নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়েছে বলে তাদের দাবি।
এ বিষয়ে গাছা থানার ওসি মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।