দোকানে পা তুলে বসা নিয়ে সংঘর্ষ, ছুরিকাঘাতে আপ বাংলাদেশ নেতার মৃত্যু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৭ AM , আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৩ AM
তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)–এর গাজী তাহমিদ খান নামে এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার বাড়িয়ারহাট পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাহমিদ বারৈয়ারহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব হিঙ্গুলী এলাকার মোহাম্মদ আলমগীরের ছেলে।
জানা গেছে, আপ বাংলাদেশ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সদস্য ছিলেন তিনি। গত ১৯ নভেম্বর ১১০ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় আপ বাংলাদেশ। সেই কমিটিতে ৩৬ নম্বরে নাম রয়েছে তাহমিদের। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সাবেক সদস্য ছিলেন তিনি।
বিষয়টি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সংগঠক নাঈম আহমাদ। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে তিনি বলেন, নিহত তাহমিদ আপ বাংলাদেশ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা তার মৃত্যুর খবর পেয়েছি।
স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় বারইয়ারহাট পৌর বাজারে একটি দোকানে পায়ের উপর পা তুলে বসে ছিলেন হিঙ্গুলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জুবায়ের। এসময় বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটনকে দেখে পা নামিয়ে না বসায় লিটন জুবায়েরকে লাথি দেয়। এই নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা চলে যায়। পরবর্তীতে লিটন ও জুবায়ের নিজ নিজ এলাকা জামালপুর ও হিঙ্গুলীর লোকজনের সঙ্গে উভয়পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাও জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয় তাহমিদ।
বারইয়ারহাট পৌরসভা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোহন দে বলেন, বুধবার বিকেলে লিটনের সঙ্গে জুবায়েরের ঝামেলার বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমরা কয়েকজন মিলে ট্রাফিক মোড়ে যাই। সেখানে যাওয়ার পর কথা বলার এক পর্যায়ে লিটনের জামালপুর এলাকার সবাই আমাদের ওপর হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাহমিদ কখন সেখানে গেছেন বলতে পারি না। তিনি আমাদের এলাকার হওয়ায় তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী নাজমুল হক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, স্থানীয় একটি দোকানে পা তুলে বসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই সংঘর্ষে একজন নিহত হন।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পর থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দায়ীদের চিহ্নিত করতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।