কোথায় আয়েশা— জানিয়েছিলেন স্বামী, যেভাবে অভিনব কায়দায় গ্রেপ্তার ডাবল মার্ডারার গৃহকর্মী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৮ PM , আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২১ PM
অবশেষে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার হত্যার প্রধান আসামী পুলিশের কব্জায়। শহরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা–মেয়েকে হত্যার ঘটনার প্রধান আসামী গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঝালকাঠি স্বামীর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা।
হত্যার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে আয়েশা বলেছে, কাজের পর আয়েশা যখন বাসা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন; তখন গৃহকর্তী তাকে চুরি করার অভিযোগে দিয়ে আটকায় এবং তল্লাশীর চেষ্টা করেন। সে সময় হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আয়েশা কোপ দেয়। এ সময় গৃহকর্তীর চিৎকার শুনে তার মেয়ে ছুটে আসলে তাকেও একই অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে আয়েশা।
পুলিশ জানিয়েছে, আয়েশার সঙ্গে তার স্বামী রাব্বীকেও আটক করেছে পুলিশ। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়। স্বামীর দেওয়া তথ্যেই নলছিটি থেকে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, আয়েশা ৬ মাস আগে মোহাম্মাদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার একটি বাসায় চুরি করেছিলেন বলে তথ্য মিলেছে।
তেজগাঁও বিভাগের এডিসি মোহাম্মাদ জুয়েল রানা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রথমে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে আয়েশার স্বামীকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই নলছিটি থেকে হাতেনাতে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আজ বেলা ১২টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটি থেকে গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। এ ছাড়া তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাকেও গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
এডিসি মোহাম্মাদ জুয়েল রানা জানান, ক্লু-লেস এই জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে ৬ মাস আগে মোহাম্মাদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার একটি বাসায় চুরিও করেছিলেন আয়েশা।
জানা যায়, গৃহকর্মী আয়শাকে গ্রেপ্তার করা সেই বরিশালের নলছিটি এলাকায় তার দাদা শ্বশুরের গ্রামের বাড়ি। নলছিটি থানার ওসি আশরাফ আলী বলেন, ‘আয়েশার স্বামীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিস্তারিত ঢাকা থেকে জানাবে।’
এর আগে গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে লায়লা ফিরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জোড়া হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে গৃহকর্মী আয়েশাকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম।