‘অপহরণ নয়, জিনের প্ররোচনায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন খতিব মুহিবুল্লাহ’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৪ PM
গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের আলোচিত খতিব ও পেশ ইমাম মো. মহিবুল্লাহ মিয়াজীকে অপহরণ নয়, জিনের প্ররোচনায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার ছোট ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ। তিনি বলেন, আব্বুর কাছে আমি জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এর আগেও যাদুগ্রস্থ কিংবা জিনগ্রস্থ তাই ওটার মাধ্যমে তাকে গুমের ব্যাপারে প্রলুব্ধ করেছে। আশঙ্কা করেছেন যে, ওটার মাধ্যমে তাকে যেভাবে করতে বলেছে উনি তাই করেছে।
তার বাবা জানায়, আমাকে বলছে ওদিকে যা আমি কি ওদিকে গিয়েছি। আমাকে বলেছে সামনেই বাসে কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাট। আমি কেটেছি। পঞ্চগড়ে যা আর পঞ্চগড়ে গিয়েছে। বাস থেকে নামার পরে বলেছে হেঁটে যেতে আমি হেঁটে গিয়েছি। আমাকে বলেছে নিজের পায়ে শিকল বাঁধতে আমি তাই করেছি। এই কাজগুলো আব্বা নিজে থেকেই করেছে। গুলো করেছে উনাকে কোনোভাবে কিছু করানো হয়েছে এটাই তার স্টেটমেন্ট।
এদিকে, ইমাম মো. মুহিবুল্লাহ মিয়াজীকে অপহরণ করা হয়েছে এমন খবর মিথ্যা বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান জিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাহেরুল হক চৌহান।
তিনি জানান, ইমাম মুহিবুল্লাহ অপহরণের পেছনে ইসকন জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, তিনি নিজে শ্যামলী পরিবহনের বাসের টিকিট কেটে পঞ্চগড়ে গেছেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর এই মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুহিবুল্লাহর বাসের সহযাত্রী এবং বাসের সুপারভাইজারও পুলিশের হেফাজতে আছেন। ইতোমধ্যেই ইমাম মুহিবুল্লাহ পুলিশকে প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করেছেন।
গত ২২ অক্টোবর সকালে টঙ্গীর বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরদিন ২৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের সিতাগ্রাম হেলিপ্যাড এলাকায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের পাশে শিকল বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।