নুসরাত হত্যা: আ.লীগ নেতা রুহুল আমিন আটক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:১১ PM , আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:২৭ PM
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। আটক রুহুল আমিন সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। শুক্রবার বিকালে তাকে আটক করে পিবিআই।
পিবিআই’র চট্টগ্রাম রেঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোহাম্মদ ইকবাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে তাকে আটক করেছি। এর আগে একাধিক আসামির জবানবন্দিতে তার নাম এসেছে। তাই তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি আমাদের হেফাজতে রয়েছেন।’
জানা যায়, এই মামলার অন্যতম দুই আসামি নুরুদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এতে রুহুল আমিনের নাম উঠে আসে। শাহাদাত জবানবন্দিতে জানায়, নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর সে (শাহাদাত) দৌড়ে নিচে নেমে উত্তর দিকের প্রাচীর টপকে বের হয়ে যায়। এর মিনিট খানেকের মধ্যে নিরাপদ স্থানে গিয়ে রুহুল আমিনকে ফোনে নুসরাতকে আগুন দেওয়ার বিষয়টি জানায় সে। তখন রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি জানি। তোমরা চলে যাও।’
মাদ্রাসার একজন শিক্ষক বলেন, সিরাজ উদ দৌলা কিছু সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদের নিয়ে সব ধরণের অপকর্ম করে। তাই তাকে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। নুসরাতের সাথে ঘটে যাওয়া ২৭ তারিখের ঘটনার পর আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শুরু করি। কিন্তু পরবর্তীতে মাদ্রাসার গভর্নিং বোর্ডের সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি রুহুল আমীন আমাদেরকে বিষয়টি নিয়ে কথা না বলতে পরোক্ষভাবে হুমকি দেন। আর আমাদেরও ধারণা ছিলো যেহেতু নুসরাতের গায়ে হাত দিয়েছে তাই অল্প কিছু দিন পরেই সিরাজ উদ দৌলা ছাড়া পেয়ে যাবে। তখন আমাদের চাকরি থাকবে না।
গত ৬ এপ্রিল কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করা নুসরাত জাহান রাফিকে। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ওসি, সাংবাদিক থেকে করে প্রভাবশালীরা এটাকে আত্মহত্যা বলে চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১এপ্রিল বুধবার মারা যায় নুসরাত।
আরো দেখুন: নুসরাতের বাড়িতে আসামীদের স্বজনরা, মামলা প্রত্যাহারের চাপ!